ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে, পাটের সোনালি দিন ফিরছে

পাটের সোনালি দিন ফিরেছে

অনলাইন ডেস্কঃ প্লাস্টিক ও সিনথেটিক পণ্যের আগ্রাসী বিস্তারের গ্রাস পেরিয়ে আবার ফিরে আসছে পাটের সোনালি দিন। পাটপণ্যের জাগরণ শুরু হয়েছে নতুন করে। দেশীয় বাজার বিকাশ, পাট নিয়ে দেশীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন, গবেষণালব্ধ নতুন আবিষ্কার মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজার বিস্তৃতির কারণে বাংলাদেশের পাট এখন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খোলার অপেক্ষায়। পাট এখন আর দড়ি, বস্তা, চটের ওপর নির্ভরশীল নয়। বহুমুখী উপযোগিতায় পাট পেয়েছে মর্যাদার আসন। ফলে পাটের বাজারমূল্য বাড়ছে, আশাবাদী কৃষক চাষের জমি বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলার পাট আবার নির্ভরতার জায়গায় স্থান নিচ্ছে। দেশের একসময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের কদর কমতে থাকে আশির দশকের পর। এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী বন্ধ করে দিতে হয়। শীর্ষ রপ্তানিপণ্য হিসেবে পাটের জায়গা দখল করে তৈরি পোশাক। কিন্তু গত কয়েক বছরে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পাট খাত।

পাটের সোনালি দিন ফিরেছে

একসময় বাংলাদেশের পাটের বাজার ছিল ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশে। বর্তমানে থাইল্যান্ড, সুদান, সিরিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক, ইরান, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ডসহ পশ্চিমের অনেক দেশেই পাটপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। নতুন নতুন বাজারের সন্ধান মিলছে। ইউরোপের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যেও নতুন গন্তব্য শুরু হয়েছে পাটের। বেসরকারি খাতের বড় শিল্পোদ্যোক্তারা পাট খাতে বিনিয়োগ শুরু  করেছেন। বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে তৈরি পোশাকের পর চিংড়িকে ডিঙিয়ে পাট দ্বিতীয় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উন্নীত হয়। তবে বিভিন্ন কারণে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়লেই দেশের পাটকলগুলো সারা বছর কর্মচঞ্চল থাকতে পারে। পাটের বাজারমূল্য বেড়ে যেতে পারে এবং পাট চাষিরাও পেতে পারেন ন্যায্যমূল্য। এজন্য সরকার ‘ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট ২০১০’ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেই প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার পাটের বস্তার অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপের বাজারে এ বছর থেকেই কৃত্রিম আঁশের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন বছর থেকে শপিং ব্যাগসহ পণ্যের মোড়ক সবকিছুতে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এর সুফল পাওয়া যাবে বাংলাদেশের পাটপণ্যে। 

আগামী বছর থেকে ইউরোপের ২৮টি দেশে একযোগে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ থাকবে। এই দেশগুলোর শপিং মলগুলোয় আগে ফ্রি পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হতো। সারা বিশ্বে প্রতি বছর ৫০০ বিলিয়ন পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা আছে। এই বাজারের ২ শতাংশ যদি বাংলাদেশ ধরতে পারে, তাহলে দেশের পাট খাতের চেহারা আমূল পাল্টে যাবে। সেই সুফল নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে বিশ্বের অধিকাংশ পরিবেশবিষয়ক সম্মেলনে পাটের ব্যাগ ব্যবহূত হচ্ছে। এর বেশির ভাগই যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। আর এগুলো তৈরি করছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। ২০১১ সালে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ১৫ হাজার অংশগ্রহণকারীর হাতে যে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাটের ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। বিমানের ইন্টেরিয়র, গাড়ির কাঁচামাল : পাটপণ্যের বহুমুখী বিস্তারের এই সময় বিমানের ইন্টেরিয়র, গাড়ির ডেকোরেশনে ব্যবহার হচ্ছে পাট। বিশ্বের নামি গাড়ি কোম্পানি বিএমডব্লিউর সর্বাধুনিক ‘আই-থ্রি’ মডেলের ইলেকট্রিক গাড়ির অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশন, বডি ও অন্যান্য উপাদান তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে পাট। আর সেগুলো রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া জার্মানির ফক্সওয়াগন, জাপানের টয়োটা ও নিশান গাড়ির বডি তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও বাংলাদেশের পাটের কদর বাড়ছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) কাজ করছে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে। এর ফলে প্রায় ২০০ ধরনের পাটপণ্য তৈরি করছেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা। 

গত পাঁচ বছরে বহুমুখী পাটপণ্যের রপ্তানি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকার। ২০১৬ সালে তা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। পাট ব্যবহারের ক্ষেত্র বাড়ছে : উল্লেখ্য, পাটপণ্যের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান প্রোডাক্ট পাটের বস্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধান, চাল সংরক্ষণের জন্য প্রচুর ব্যবহার করা হচ্ছে। এশিয়ান ক্লথ, যেগুলো কনস্ট্রাকশন কাজে নিরাপত্তা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়; ইরান, ইরাক, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এগুলোর চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া সিবিসি (কার্পেট বেকিং ক্লথ), কার্পেটের পেছনে পাটের আস্তরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কার্পেটের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে এর ব্যবহারও বাড়ছে। এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ‘সয়েল-সেভার’ মাটির ক্ষয় রোধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা নতুন সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। রাস্তার মাটি ক্ষয় রোধের কাজে এটি ব্যবহার করছে তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবহার করছে নদীভাঙন রোধে। এ ছাড়া আরও অনেক প্রতিষ্ঠান সয়েল সেভার ব্যবহার করছে। হাতিরঝিল প্রকল্পে রাস্তা করার সময় রাস্তার পাড়ে সয়েল সেভার ব্যবহার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশে উদ্ভাবিত এই পণ্যটি বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে। 

কার্পেট, জুটম্যাট, মসজিদের মাদুর, জায়নামাজসহ সুন্দর সুন্দর পণ্য তৈরি হয় বাংলাদেশের উৎপাদিত পাট থেকে। দর্শনীয় ও গুণগত মানের কারণে আজ বিশ্ববাজারে এ দেশের পাটপণ্যের কদর বেড়েছে। সব মিলিয়ে পাট এখন আর বস্তা, চট, দড়ি, কার্পেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বন্ধ ৭টি মিল চালু, ১৮ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান : জোট সরকারের আমল থেকে বন্ধ থাকা ৭টি পাট ও বস্ত্র মিল পুনরায় চালু করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এর মধ্য দিয়ে ১৭ হাজার ৮৬৩ জন শ্রমিকের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যমী প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ব্যক্তিগত তৎপরতায় এসব বন্ধ মিল চালু করে বিপুলসংখ্যক মানুষের কাজের সুযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করায় ব্যক্তিমালিকানায় বিক্রি করে দেওয়া ৯টি পাট ও বস্ত্র মিল পুনঃগ্রহণ (টেক-ব্যাক) করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এসব মিলও পর্যায়ক্রমে চালু করে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি মির্জা আজম বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বন্ধ মিলগুলো চালুর উদ্যোগ নেন। তারই প্রচেষ্টায় বন্ধ থাকা ৫টি জুট মিল ও ২টি টেক্সটাইল মিল চালু করা হয়েছে। এদিকে বেসরকারি খাতে বিক্রি করে দেওয়া ৯টি পাট ও বস্ত্র মিলকে বিক্রয় চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে চুক্তি বাতিল করে নিজের তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। 

সর্বশেষ গত মাসে কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস্ লি. শর্ত ভঙ্গ করায় পুনঃগ্রহণ (টেক-ব্যাক) করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এর আগে হস্তান্তর চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় এবং মিলের উৎপাদন বন্ধ রাখায় ৮টি মিল পুনঃগ্রহণ (টেক-ব্যাক) করেছে মন্ত্রণালয়। পাটপণ্যের দেশীয় বাজার বেড়েছে : মন্ত্রণালয়সূত্র জানায়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি পাটের বস্তার অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। গত অর্থবছরে ‘বিশেষ অভিযান’সহ সারা দেশে ১ হাজার ৬০৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকার দণ্ড ও দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনার ফলে আইনটি ৮৫-৯০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ : ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে একদল বাংলাদেশি তরুণ গবেষক পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। সেই গবেষণার পথ ধরে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাট ও ছত্রাকের ৭টি জিন শনাক্ত করেছেন। ২০১৪ সালে মাকসুদুল আলম মারা যাওয়ার আগেই ওই ৭টি জিনের পেটেন্টের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ। বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে চলতি বছর এগুলোর পেটেন্ট পাওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের কোথাও এ নিয়ে কোনো বাণিজ্যিক গবেষণা হলে বাংলাদেশের অনুমতি নিতে হবে। এর জন্য অর্থমূল্য দিতে হবে। এই পেটেন্ট পাওয়ার পাশাপাশি এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নতুন জাত উদ্ভাবন ও শিল্প-বাণিজ্যের কাজে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, পাটের শনাক্ত ৪টি জিন কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে ৪টি নতুন জাত তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। রবি ১ ও ২ এবং শশী ১ ও ২ নামের ওই জাত ৪টির মধ্যে প্রথমটি ইতিমধ্যে দেশের কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে। এতে সাফল্যও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, পাটের আঁশের মধ্যে সাধারণত ১২ থেকে ১৪ শতাংশ লিগনিন থাকে। প্রাথমিকভাবে লিগনিনের পরিমাণ কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হলে এতে আঁশ নরম হবে। ফলে পাট দিয়ে শার্ট, প্যান্ট বা সমজাতীয় পোশাক প্রস্তুতের সুতা তৈরি করা যাবে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিজ্ঞানীরা যৌথ উদ্যোগে পাট ও ভেড়ার লোম দিয়ে কম্বল তৈরি করছেন। এটি শিগগিরই বাজারে আসবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। পাটের পাতার বহুবিধ ব্যবহার নিয়েও গবেষণা শুরু হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিজ্ঞানীরা পাটের পাতার ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান নিয়ে গবেষণা করছেন। পাট থেকে চা তৈরির গবেষণাও চলছে। একই সঙ্গে পাটের আঁশ দিয়ে ব্যাটারি, নানা ধরনের পণ্য তৈরির গবেষণা চলছে দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীদের। বিজেএমসি সূত্র জানায়, পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ার কারণে দেশের সরকারি পাটকলগুলোয় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন বন্ধ পাটকল চালু করায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী সমিতির সূত্রমতে, বাংলাদেশ বছরে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে। বস্তা, রশি, চট ও কার্পেটের মতো পাটপণ্যের রপ্তানিমূল্যও কম। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বহুমুখী পাটপণ্যের রপ্তানি আয় দ্বিগুণ হয়েছে। এ বছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগামী বছর ৮০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার ৯০ ভাগ আয় হতো শুধু পাট থেকে। এ দেশে আগে উত্কৃষ্টমানের পাট পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পাটের বীজের জন্য আমাদের ৯০ ভাগই নির্ভর থাকতে হয় ভারতের ওপর। ’ তিনি বলেন, ‘গত তিন বছরে আমরা পাট খাতে অনেক অর্জন যোগ করেছি। পাট থেকে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করছি। পাট থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিন ব্যাগসহ ২০০ প্রকারের পণ্য তৈরি করা হয়। ’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল মিল থেকে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। পাট নিয়ে এখন শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা। ’ #বিডিপ্রতিদিন

Post a Comment

Previous Post Next Post