বিশেষ প্রতিনিধিঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে মুক্তযোদ্ধ পাঠাগারের উদ্ধোধন করা হয়েছে। কুলাউড়ার প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন লেখকের বই ও প্রমাণ্যচিত্র দিয়ে পাঠাগার স্থাপনের প্ররিকল্পনা হাতে নেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বিসিবির পরিচালক ও দৈনিক উত্তরপূর্বের সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
পাঠাগারের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্য দেন-মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান। ব্রাহ্মণবাজার ইউপি’র চেয়ারম্যান প্রভাষক মমদুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রজত কান্তি গুপ্ত’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন-পাঠাগারের পরিকল্পনাকারী ও উদ্যোক্তা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-টিলাগাঁও ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক, ভাটেরা ইউপি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম, কর্মধা ইউপি’র চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফ, কুলাউড়া থানার ওসি মো. শামীম মূসা, বিশিষ্ঠ কমিউনিটি লিডার মোস্তফা আব্দুল মালিক, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মানিক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর, বর্তমান সভাপতি আব্দুশ সহিদ, সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই হাদী, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত আর ইতিহাসের অনেক বাঁক অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বমহিমায় আবির্ভূত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশের পাশাপাশি চিরন্তন গ্রামীণ সমাজে জ্ঞানভিত্তিক পদচারণা আরো জোরালো করা সময়ের দাবি। এই বোধ ও বিশ্বাস থেকেই প্রতিটি ইউনিয়নে স্থাপন করা হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার’।