বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ কর্মী খুন

বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ কর্মী খুন


বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:  বিয়ানীবাজারে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ কর্মী খুন হয়েছে। ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে। মোকাম মসজিদের সামনে নিহত যুবক পান খেতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর  নাম আনোয়ার হোসেন। সে সুপাতলা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র এবং ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেনের ভাই। সে স্থানীয় জামাল গ্রুপের একজন কর্মী। 

জানা যায়, পান খাওয়ার জন্য মোকাম মসজিদের সামনের একটি পান দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় কোথায় থেকে এ তরুণ এসে কোন কিছু না বলে তার বুক বরাবর ছুরি চালায়। একটি কুপ দিয়ে ওই দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। আনোয়ার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার শাহরিয়ার বলেন, তার বুকের বাম পাশের শেষ পাজরের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে আমাদের ধারণা। এখানে নিয়ে আসার আগেই সে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর, শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালম চেয়ারম্যান সিহাব উদ্দিন। এর আগে খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার ওসি মো. শাহজালাল মুন্সী, ওসি তদন্ত জাহিদুল হকসহ থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যান।
আনোয়ারের মৃত্যু সংবাদ ছুটে হাসপাতালে তাঁর স্বজনরা ছুটে আসেন। এ সময় এক মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সকলের কান্নার হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। মৃত্যু সংবাদ শুনে হাসপাতালে উৎসুক জনতা ভীড় করেন। এ সময় উৎসুক মানুষকে সামাল দিতে পুলিশ প্রবেশ পথে নজরদারি বাড়ায়।

এ দিকে দুর্বৃত্তদের খোঁজে পুলিশের কয়েকটি দল পৌরশহর ও আশপাশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী বলেন, ঘাতক কে এখনো জানা যায়নি। লাশের সুরত হাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post