স্পোর্টস ডেস্কঃ প্রোটিয়াদের বিশাল রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মহাবিপদে পড়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। ৬১ রানে হারাতে হয়েছে ৪ উইকেট। শুরুটা হয়েছিল সৌম্য সরকারের আউট দিয়ে। ইনজুরি কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ফেরা এই ওপেনারকে ব্যক্তিগত ৯ রানে বোল্ড করে দেন প্রোটিয়া পেস সেনসেশন রাবাদা। এরপর উইকেটে এসেই একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অলিভারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুমিনুল হক।
অলিভারের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (৭)। এরপর মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে (৪) কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দী করে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটান পারনেল। চা বিরতির আগে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৬১।
এর আগে ৪ উইকেটে ৫৭৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। ৩ উইকেটে ৪২৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল ডু-প্লেসিসের দল। বৃষ্টির কারণে দেড় ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরুর পরপরই তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করেন হাশিম আমলা।
১১৩ বলে ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি তুলে নিতে আমলা ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। এর কিছু পরেই ১৪৭ বলে ১২ বাউন্ডারিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস।
২৪ ওভার অপেক্ষার পর অবশেষে দ্বিতীয় দিনে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলাকে (১৩২) বোল্ড করে নিজের তৃতীয় শিকার ধরলেন পেসার শুভাশিস রায়। এর সাথে সমাপ্তি ঘটল ২৪৭ রানের জুটির। এর আগে প্রথম দিনে ২৪৩ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
অন্যদিকে বল হাতে 'অন্যরকম' সেঞ্চুরি করেছেন চার বাংলাদেশি বোলার। 'কাটার মাস্টার' মুস্তাফিজুর রহমান, পেসার শুভাশিস রায়, রুবেল হোসেন এবং স্পিনার তাইজুল ইসলাম প্রত্যেকেই একশর উপরে রান দিয়েছেন। সাফল্য পেয়েছেন কেবল শুভাশিস রায় আর রুবেল হোসেন। ২৯ ওভার বল করে ১১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার শুভাশিস রায়।