বড়লেখা প্রতিনিধি: ভারি
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার উত্তর চৌমোহনা ও উপজেলার
দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালতলি বাজার এলাকায় আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক দোকানে পানি ওঠে মালামাল নষ্ট হয়েছে। তলিয়ে গেছে
বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক সড়ক।
বুধবার (২২ জুন) দিবাগত রাত থেকে উপজেলায় কয়েক দফা ভারি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এর
আগে গত (১৭ মে) বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পৌর শহর ও উপজেলার কাঁঠালতলী বাজারে
জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় তিনশত দোকানে পানি ওঠে মালামাল নষ্ট হয়ে কোটি
টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে নষ্ট মালামাল সরাচ্ছেন। এতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
এছাড়া
বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক সড়কের উত্তর চৌমোহনা ও বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকা
পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যান চলাচল করতে
পারেনি। এতে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
অপরদিকে ঢলে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালতলি বাজার এলাকায় অর্ধশতাধিক দোকানে পানি ওঠেছে। একইভাবে পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড, হাটবন্দ, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকাতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন।
অপরদিকে ঢলে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালতলি বাজার এলাকায় অর্ধশতাধিক দোকানে পানি ওঠেছে। একইভাবে পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড, হাটবন্দ, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল এলাকাতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন।
বড়লেখা
পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘পৌর
শহরে জলাবদ্ধতার অবস্থাটা খুবই খারাপ। সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বড়লেখা-শাহবাজপুর
সড়কের ডিগ্রি কলেজ এলাকায় চলমান রাস্তার সংস্কার কাজের মালামাল তলিয়ে গিয়ে
ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মূলত শহরের দক্ষিণে নিখড়ি ও উত্তরে ষাটমা নামে দুটি
নদী আছে। দুটির উৎসই হচ্ছে পাথারিয়া পাহাড়। নদী বেদখল ও খনন না করায় বৃষ্টি
দিলেই ঢল নামে। আর তা শহরে এসে আঘাত করে। নদী দখলমুক্ত করে খনন করা হলে
শহরে আর পানি ওঠবে না।’