জুড়ী ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক প্রার্থী ৫৯ জন

জুড়ী ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক প্রার্থী ৫৯ জন
নাজমুল ইসলাম: বিলুপ্ত থাকা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি শীঘ্রই আসছে তাই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে জুড়ী উপজেলার কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মন জয় করতে গোপনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৯ জন পদ প্রত্যাশীরা।

সুত্রে জানা যায়, সভাপতি পদে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা,সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মুমিন খাঁন,সাবেক সহ সভাপতি শাহাবুদ্দিন সামসু,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ,কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ন রশিদ রাজি,কলেজ ছাত্রলীগের আহব্বায়ক সাগর পুরকায়স্ত।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দুকুর রহমান,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,খাইরুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মুহিদুর রহমান রাসেল, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক বাবেল আহমদ,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজিবুর রহমান, টিএন খানম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়ছল আহমদ,কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, যুগ্ম আহব্বায়ক সাইফুল ইসলাম।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকের মন জয় করতে সভাপতি সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

সভাপতি পদ প্রত্যাশী জুয়েল রানা জানান,এবারের জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি আরও বলেন জেলা ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দরা অভিজ্ঞতা যাচাই বাচাই করে তাকেই দায়িত্ব দেবে বলে শতভাগ আশাবাদি।

জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মুমিন খাঁন বলেন,গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষে ছাত্রলীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে বিগত দিনগুলোতে সক্রিয় ছিলাম আগামীতেও সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগকে আরও সুসংগঠিত করতেই এবার সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দ তাকেই মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদি।

এদিকে দীর্ঘদিন থেকে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সক্রিয় থাকায় সভাপতি পদে দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে রয়েছেন সর্বশেষ কমিটির সভাপতি জুয়েল রানা ও সিনিয়র সহ সভাপতি তুখোড় ছাত্র নেতা মো. মুমিন খাঁন।

দৌড়ঝাঁপে থাকা অন্যান্য সভাপতি সম্পাদকরা সবাই শতভাগ আশাবাদি আসছে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তারাই স্থান পাবেন। তবে সভাপতি সম্পাদক পদে ৫৯ প্রার্থী হওয়ায় পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনা চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অধ্যয়নরত ছাত্রকে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিলে ছাত্রলীগ আরও সুসংগঠিত হবে। দুটি পদে ৫৯ প্রার্থী হওয়ায় দলীয় গ্রুপিংকে দায়ি করছেন তারা।

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান রনি মোবাইল ফোনে জানান, তিনি আরও জানান ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অধ্যয়নরত ছাত্র ছাড়া কাউকে মুখ দেখিয়ে ছাত্রলীগের কোন পদ দেয়া হবে না। এবারের কমিটিতে জীবন বৃত্তান্ত ও ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেয়া হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,স্থানীয় আ’লীগ নের্তৃবৃন্দের দন্দের কারনে জুড়ী উপজেলা কমিটি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। শীঘ্রই কমিটি ঘোষনা করা হবে।

উল্লেখ্য,জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত গত বছরের ১৮ নভেম্বর ২০১৫ জমা দেন জেলা ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দের কাছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post