বিশেষ প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা এ কে এম সফি আহমদ সলমান এর উপর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু কর্তৃক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ২৩ ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ঢাকাস্থ সচেতন কুলাউড়াবাসীর’ ব্যানারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ জীবন রহমান এর সভাপতিত্বে ও জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্টিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আল ইমরান হোসাইন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক জাফর আহমদ গিলমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান চৌধুরী ছোহেল, ঢাকা পলিটেকনিক কলেজের কৃতি ছাত্র রায়হানুল ইসলাম, তেজগাও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল ইসলাম জুয়েল, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল আহমদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহমদ, শরিফুল ইসলাম, ঠিকানার ক্রীড়া রিপোর্টার মামুনুর রশীদ মিতুল, ঠিকানার মার্কেটিং অফিসার মোক্তার হোসেন সুমন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিপু, ছাত্রলীগ নেতা তায়েফ মোঃ নিয়াজুল হক ও সমাজসেবক রবিন্দ্র মল্লিক রবি। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুলাউড়া পৌরসভায় মেয়র পদে দলের মনোনয়ন দেয়া হয় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমানকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফি আলম ইউনুস। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করলেও মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করতে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু। রেনু দলীয়ভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়ায় দলীয় প্রার্থী সলমানের বিরুদ্ধে মারধর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য জীবন রহমান মানববন্ধনে বলেন, রেনু শফিসহ অন্য দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। রেনুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে সুপারিশ করেছেন। এ নিয়ে রেনু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। মোক্তার হোসেন সুমন বলেন, ৫ ফেব্র“য়ারি উপজেলার কাদিপুর যুবলীগের সম্মেলনে রেনু ও সলমান যোগদান করেন। রেনু সম্মেলনে যোগদান করার পরপরই স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে স্থানীয় দু’গ্র“পের আওয়ামীলীগ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে রেনু সে সম্মেলন থেকে চলে যান। কিন্তু ৭ ফেব্র“য়ারি সলমানকে প্রধান আসামি ও ১৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মারধরের অভিযোগ এনে ‘মিথ্যা’ মামলা করেন। মামলাটি দায়ের করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার ও রেনুকে দলকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। মানববন্ধন থেকে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।