নিউজ ডেস্কঃ আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বগুড়ায় লোকালয় ও ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে শত শত ইটভাটা। এতে ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে পাশাপাশি ভাটার ধোঁয়ায় সবুজ প্রকৃতি, ফসল, পরিবেশ, জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। ভাটা মালিকরা বলছেন ইটভাটার জন্য সরকার স্থায়ী কোন নীতিমালা প্রণয়ন না করায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আইন মানতে পারছেনা তারা। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলছেন দুই বছর ধরে আদালত থেকে ভাটা চালু রাখার আদেশ দেয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। আবাসিক এলাকা, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হলেও বগুড়ায় মানা হচ্ছে না এ আইন। বগুড়া পৌরসভার বর্ধিত এলাকায় এবং শাহজাহানপুর উপজেলা সদরে রয়েছে প্রায় ৫০টি ইটভাটা। আবাদি জমিতে গড়ে তোলা এসব ইটভাটাতে ব্যবহার করা হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি, পুড়ানো হচ্ছে কাঠ আর অধিকাংশ ভাটাই চলছে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া। এসব ভাটা থেকে পরিবেশ দূষণের ফলে নানা ধরণের ক্ষতির শিকার হচ্ছে ভাটা এলাকার মানুষ। অপরদিকে ভাটা মালিকরা চান সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালা, যাতে করে আইন মেনে পরিবেশ বান্ধব ভাটা তৈরি করতে পারেন। হাইকোর্টে রিট করে সময় নেয়ায় অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে গত ২ বছর ধরে কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানালেন রাজশাহীর পরিবেশ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, মোঃ ওসমান গণি। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে বগুড়া জেলায় ২০৪টি ইটভাটার মধ্যে পরিবেশের ছাড়পত্র নেয়া বৈধ ভাটা রয়েছে মাত্র ৪৭টি।