নিউজ ডেস্কঃ এক রাতের অসহ্য যন্ত্রণার পর মারা গেলেন মিরপুরে পুলিশের হামলায় দগ্ধ চা দোকানদার বাবুল মাতব্বর। চাঁদা না দেয়াতেই তার এ করুণ পরিণতি। বুধবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পর সারারাত অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করেন। অবস্থার অবনতির পর সকালে তিনি মারা যান। এদিকে, থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলার সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য নয় বরং সোর্স জড়িত থাকতে পারে। রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানা সংলগ্ন কিংশুক মাঠের পাশের চায়ের দোকানে ঘটে সেই নির্মম ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বুধবার রাতে এই দোকানেই সোর্সসহ চাঁদা চাইতে যায় পুলিশ। তার পরিবারের অভিযোগ সাপ্তাহিক চাঁদা না দেয়ায় ইচ্ছে করেই এ ঘটনা ঘটায় পুলিশ। পরে আহত বাবুলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মারা যায়। এর আগে থানা কর্তৃপক্ষ দাবি করে, এই হামলার সাথে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত নয়। তবে, পুলিশের বক্তব্যের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা লক্ষ করা যায়। মিরপুরের শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বলেন, 'দেলোয়ার পাবলিক সোর্স। আমি তাকে চিনি না। দেলোয়ার নামে আমাদের কোনো কনস্টেবল বা এসআই নাই।' বৃহস্পতিবারে এ ব্যাপারে কথা বলতে আবারো থানায় যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি কোনো পুলিশ সদস্য।
চা বিক্রেতার মৃত্যু: চার পুলিশ প্রত্যাহারঃ আগুনে দগ্ধ হয়ে চা বিক্রেতার মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহআলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জসিম উদ্দীন মোল্লা (প্রশাসন) জানান, চারজনের মধ্যে দুইজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল। এরা হলেন, উপ-পরিদর্শক মোমিনুর রহমান খান এবং নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক দেবেন্দ্র নাথ এবং কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, “মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এবং সহকারী কমিশনার মাহবুব হোসেনকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।” পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার প্রসঙ্গে মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনার সময় তারা এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন। প্রত্যাহার করে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তাদের কোনো গাফলতি আছে কি না।”
জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঃ মিরপুরে দোকানদার বাবুল মাতুব্বর দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তদন্তের পরে যদি কেউ দায়ী হয় বা দোষী হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে। আইনের ঊর্দ্ধে কেউ নয়। যেই দোষ করে থাকুক তার শাস্তি হবে, ব্যবস্থা হবে। তবে তিনি দাবি করেছেন, বিচ্ছিন্ন এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না।
চা বিক্রেতার মৃত্যু: চার পুলিশ প্রত্যাহারঃ আগুনে দগ্ধ হয়ে চা বিক্রেতার মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহআলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জসিম উদ্দীন মোল্লা (প্রশাসন) জানান, চারজনের মধ্যে দুইজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল। এরা হলেন, উপ-পরিদর্শক মোমিনুর রহমান খান এবং নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক দেবেন্দ্র নাথ এবং কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, “মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এবং সহকারী কমিশনার মাহবুব হোসেনকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।” পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার প্রসঙ্গে মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনার সময় তারা এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন। প্রত্যাহার করে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তাদের কোনো গাফলতি আছে কি না।”
জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঃ মিরপুরে দোকানদার বাবুল মাতুব্বর দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তদন্তের পরে যদি কেউ দায়ী হয় বা দোষী হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে। আইনের ঊর্দ্ধে কেউ নয়। যেই দোষ করে থাকুক তার শাস্তি হবে, ব্যবস্থা হবে। তবে তিনি দাবি করেছেন, বিচ্ছিন্ন এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না।
বাবুলের মৃত্যুতে শোকার্ত স্বজনরা, দোষীদের শাস্তির দাবিঃ মিরপুরে পুলিশের হামলায় দগ্ধ চা দোকানি বাবুল মাতব্বরের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বাবুলের আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাকি বেগম বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার সন্তান ও স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা। এদিকে, মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তারা। সুত্রঃ সময় টিভি