নিউজ ডেস্কঃ মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও অবাধে ব্যবহার হচ্ছে মশার কয়েল। তবে অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন মশার কয়েল বিক্রি করছে সারাদেশে। এসব কয়েলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের আধিক্যের কারণে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বিশেষজ্ঞরা সরকারের তদারকি জোরদারের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। দরজা জানালা আটকে রেখে, মশার কয়েল ব্যবহার করেও মিলছে না মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কারণ, মশার কয়েলের ধোঁয়ায় তাদের শারীরিক নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি এক সেমিনারে জানানো হয়, কিছু অসাধু কোম্পানি মশার কয়েলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত অনুমোদিত সবোর্চ্চ দশমিক তিন মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে 'একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট' রাসায়নিক ব্যবহার করছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। ভুয়া পিএইচপি নম্বর ও বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে এসব মশার কয়েল বাজারজাত করছে ৩০টির বেশি দেশীয় বেনামি কারখানা। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব কয়েল বিক্রি বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন বলে মনে করেনজাবি'র কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.কবিরুল বাশার। মশা তাড়াতে কয়েল, স্প্রে এসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে বিকল্প পদ্ধতিতে মশা প্রতিরোধ করার ওপর জোর দেন নিপসমের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বে-নজির আহমদ।