স্টাফ রিপোর্টারঃ মাঘ মাসের সন্ধ্যায় বৃষ্টি এল ঝমঝমিয়ে চা-বাগানে, আশীর্বাদ নিয়ে। এ সময়ের এই বৃষ্টিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে চা-গাছ। আর গাছে গাছে আসবে নব কিশলয়। গজাবে আগাম পাতা। ধুম বৃষ্টির ছোঁয়ায় নব প্রাণ ফিরে পাবে চারা গাছ (ইয়ং টি)। চা-বাগান ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। শীত মৌসুমের আকস্মিক এই বৃষ্টি জনজীবন ব্যাহত করলেও চা-শিল্পাঞ্চলের জন্য বয়ে এনেছে আশীর্বাদ। অনেক চা-বাগানে এখন সেচ দেওয়া হচ্ছে। এই বৃষ্টি বাগানগুলোতে সেচের চাহিদা মেটাবে। অন্যদিকে বাগানগুলোতে চলছে চা-গাছ ছাঁটাইয়ের কাজ। বৃষ্টির কল্যাণে ছাঁটাই করা ডালে আগাম কুঁড়ি গজাবে; যা আগাম পাতা তোলায় সহযোগিতা দেবে। এ ছাড়া চা-গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে। চারা গাছগুলোর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই বৃষ্টি খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা থেকে রাত সোয়া আটটা পর্যন্ত মৌলভীবাজারে দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চা-বাগানের জন্য এই বৃষ্টি আশীর্বাদ বলা যায়। বাংলাদেশ চা-বোর্ডের চা-বাগান ব্যবস্থাপনা কোষের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. শাহজাহান আকন্দ বলেন, এখন এই বৃষ্টি পাওয়ার কথা ছিল না। অপ্রত্যাশিত এই বৃষ্টি চায়ের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে শিশু চারার খুব কাজে দেবে। পোকামাকড় থেকে চা-গাছ রেহাই পাবে। যদিও ফাঙ্গাস হওয়ার আশঙ্কা আছে। ছাঁটাই করা গাছে আগাম পাতা ধরবে। এতে ফেব্রুয়ারির শুরুতে চা-পাতা তোলা যাবে।