বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
নিউজ ডেস্কঃ সামর্থ্য থাকলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে আরও মিতব্যয়ী হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। পাশাপাশি নবায়ন যোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। ঢাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ এবং বিদ্যুৎ মেলার উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে নিয়ে যেতে হলে বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ পাচ্ছে ৭৪ শতাংশ মানুষ উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ আর জ্বালানি প্রধান দুই অনুষঙ্গ। আর এ কথা মাথায় রেখেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ১১ হাজার ৮শ' মেগাওয়াট থেকে থেকে আগামী ৬ বছরে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদনে রয়েছে ১০০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে দেশের ৭৪ ভাগ মানুষকে। আর সিস্টেম লস নেমে এসেছে ১৩ শতাংশে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের নেয়া নানা পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে শুরু হলো জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার কোনও বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ তাগিদ দিলেন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর। তিনি বলেন, আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উৎপাদন অত্যন্ত ব্যয়বহুল কার্যক্রম। এতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। সামর্থ্য থাকলেই যথেচ্ছ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। এর আগে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিষয়ে ইতিবাচক সাংবাদিকতার জন্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক বিভাগে ৪ সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post