স্পোর্টস ডেস্কঃ মিরপুরের আকাশে তখন কেবল একটাই আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছিল ‘বাংলাওয়াশ!!!!!বাংলাওয়াশ’। বাংলাদেশি যুবারাও তখন উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মুস্তাফিজের বলে নবম উইকেটের পতনের পর মাঠে দাঁড়িয়ে এনামুল হক বিজয় মুস্তাফিজের মাথায় হাত বুলিয়ে তার চুল ভাজ করে দিচ্ছিলো, পেছন থেকে মুস্তাফিজের গলা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলো মাশরাফি। এইসব দৃশ্য যেখানে চোখের সামনে সেখানে বিজয়ের উল্লাস কেনইবা করবে না টাইগাররা। আর আরাফাত সানি যখন মুজারাবানিকে কট অ্যান্ড বোল্ড করলো তখনতো মিরপুরের গ্যালারিতে একটাই চিৎকার বাংলাওয়াশ!!!বাংলাওয়াশ। বাংলাশের দেয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাওয়াশের কবলে পড়লো সফরকারী জিম্বাবুয়ে। এর আগে দলীয় ৪ রানে প্রথম, ৪৩ রানে দ্বিতীয়, ৪৭ রানে তৃতীয় এবং ১২৭ রানে চতুর্থ ১৮৬ রানে পঞ্চম, ১৮৭ রানে ষষ্ট, উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ে দলের। ব্যক্তিগত ১৭ রান করে মুস্তাফিজের বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন চাকাবা। অন্যদিকে ২১ রান করে নাসিরের বরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন আরভিন। ৪ রান করে মুস্তাফিজের বলে সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান চিবাবা। ১২৭ রানের মাথায় সাব্বির রহমানের বলে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক এলটন চিগাম্বুরা। ব্যক্তিগত ৩২ রানে আল-আমিনের বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দেন ওয়ালার, ৬৪ রান করে মাশরাফির বলে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন উইলিয়াম। বুধবার দুপুরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তোজা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে তামিম সর্বোচ্চ ৭৩, ইমরুল ৭৩ এবং মাহমুদউল্লাহ ৫২ রান করেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন বাংলাওয়াশ। এর আগে দুটি দলই একে অপরকে সমান দুটি বার হোয়াইটওয়াশ করেছে। ফলে এক্ষেত্রে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশের হিসেবে জিম্বাবুয়েকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। জিম্বাবুয়ে ২০০১ সালের এপ্রিল ও নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ২টি ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। ২০০৬ সালে ও ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে হিসেবের খাতা সমান করেছিল টাইগাররা।
