এম শাহবান রশীদ চৌধুরী: প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর চেহলাম আগামী ২৪ অক্টোবর। রেওয়াজ অনুযায়ী মৃত্যুর ৪০ দিনের মধ্যে চেহলাম সম্পন্ন করার নিয়ম অনুসারেই দিনক্ষণ ধার্য করা হয়েছে। চেহলাম অনুষ্টানকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই পারিবারিক ও দলীয় উদ্দ্যোগে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত মন্ত্রীর পারিবারিক তরফে ১০টি গরু জবাই করে চেহলাম সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রীর অনুরাগী মহল চেহলামের সাথে যুক্ত হওয়ায় অনুষ্টানের কলেবর প্রসারিত হচ্ছে। দেশে বিদেশে অবস্থানরত মন্ত্রীর অনুরাগী এবং রাজনৈতিক সতীর্থ মহল চেহলামে শরীক হওয়াতে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়তি আরোও ৩০টি গরু সংযুক্ত হয়েছে। চেহলাম উপলক্ষে জবাইর জন্য গরুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ মোস্তাক আলী জানান, স্বেচ্ছায় যারা শরিক হতে চাচ্ছেন তাদেরকে বারণ করাও মুশকিল। অবস্থা বিবেচনায় চেহলাম উপলক্ষে আয়োজিত শিরণি বৃহত্তর পরিসরে গণভোঁজের রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চেহলাম অনুষ্ঠানের জন্য মন্ত্রীর বাড়ির ভেতর, সম্মুখ এবং লাগোয়া মিনিবাস টার্মিনালে প্যান্ডেল তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। মন্ত্রী পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলার বর্তমান ও সাবেক এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদেরকে দাওয়াত করা হয়েছে। দলীয়ভাবে দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য দলীয় ইউনিট গুলোকে বলা হয়েছে। চেহলামে শরীক থাকার জন্য প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে সকল কেবিনেট মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর মেয়ে সৈয়দা সানজিদা শারমিন সাংবাদিকদের জানান, চেহলামে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আসার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন মন্ত্রী আসতে পারেন। বিষয়টি আজকালের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।
