বয়ঃসন্ধিকালেই বেশি কুসংস্কারের সম্মুখীন কিশোর-কিশোরীরা

বয়ঃসন্ধিকালেই বেশি কুসংস্কারের সম্মুখীন কিশোর-কিশোরীরা
বয়ঃসন্ধিকালেই বেশি কুসংস্কারের সম্মুখীন কিশোর-কিশোরীরা
অনলাইন ডেস্কঃ বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে থাকে। কিন্তু এই সময়টিতেই তারা সবচেয়ে বেশি ভুল ধারণা আর কুসংস্কারের সম্মুখীন হয়। চিকিৎসকদের মতে, বয়ঃসন্ধিকালেই একজন মানুষ প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। কিন্তু নানা ভুল ধারণায় তার সেই প্রজনন স্বাস্থ্য বাধাগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার ভবিষ্যৎ জীবন। দুরন্ত ছুটে চলা কৈশোরের এই সময়টিতে একজন মানুষের নানাবিধ শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এই শারীরিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সে প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। ১১ থেকে ১৯ বছর, কৈশোরের এই সময়টিতে শুধু শারীরিক নয় এর মাধ্যমে তার মানসিক বিকাশও ঘটে। এ অবস্থায় কৈশোরের এই পরিবর্তন নিয়ে নানাবিধ সমস্যা আর বিভ্রান্তিতে ভোগেন কিশোর-কিশোরীরা। কৈশোরের এই স্বাভাবিক পরিবর্তনের বিষয়টি যৎসামান্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও শিক্ষকদের অসচেতনতায় তা ক্লাসে পড়ানো হয় না। অনেক সময় লজ্জা আর সংকোচবোধের কারণে তা এড়িয়ে চলা হয়। চিকিৎসক জানান, শুধুমাত্র বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক বিষয়টি নিয়ে অসচেতনতার কারণে একজন ছেলে বা মেয়েকে সারাজীবনের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হয়। যা অনেক সময় তাদের সন্তান ধারণের স্বাভাবিক ক্ষমতাকেও বাধাগ্রস্ত করে। তাই তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কিশোর-কিশোরীদের স্বাভাবিক বিকাশে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা সর্বোপরি পুরো সমাজকেই উদার দৃষ্টিভঙ্গির বহি:প্রকাশ ঘটাতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post