![]() |
| শিশুমনে প্রভাব ফেলছে সিনেমা-নাটকের অ্যাকশন দৃশ্য (প্রতীকী ছবি) |
নিউজ ডেস্কঃ বোকাবাক্সে বন্দি যেন পুরো দুনিয়া। এই টেলিভিশনের মধ্য দিয়েই পুরো পৃথিবীর সংস্কৃতি আর সভ্যতার সাথে পরিচয় ঘটছে শিশু কিশোরদের। আবার এই টেলিভিশনই পরিচয় করাচ্ছে নানা ধরনের সহিংসতার সাথে। সিনেমা কিংবা নাটকে দেখানো অ্যাকশন কিংবা অপরাধমূলক অনুষ্ঠান কি প্রভাব ফেলছে শিশুমনে?
সাম্প্রতিক ঘটনা বলছে, এ প্রভাব সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কিশোর বয়সের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে প্ররোচনা যোগাচ্ছে এই ধরনের অনুষ্ঠান। মনোবিজ্ঞানী মনে করেন, এ বিষয়ে প্রয়োজন অভিভাবকের নজরদারি আর রাষ্ট্রের সঠিক নির্দেশনা। বয়সটাই উচ্ছলতার। কিন্তু পাঠ্যপুস্তক আর পরীক্ষার বাইরে, এ শিশু কিশোরদের জীবন বন্দি টেলিভিশনের পর্দায়। কি দেখছে তারা টেলিভিশনে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হক মনে করেন, এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাদের মনে। তিনি বলেন, 'ছবিতে যে হিংসাত্মক ভূমিকা দেখছে, শিশুরা নিজেকে ওই জায়গায় নিয়ে যায়। সেও তখন চেষ্টা করে এ ধরণের কাজ।' আগস্ট মাসে পাবনায় মারা যায় এগারো বছর বয়সী আরাফাত রহমান। হত্যাকারী প্রতিবেশী তিন শিশুর কাছ থেকে জানা যায়, টিভিতে দেখা অপহরণের দৃশ্য অনুকরণ করে তার গলায় ফাঁস লাগিয়েছিল তারা। একই সময়ে নাটোরে এক সহপাঠীকে খুন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এরা। আটকের পর স্বীকারোক্তিতে তারা বলেছে, একটি হিন্দি সিরিয়াল দেখে টাকার জন্য খুনের পরিকল্পনা করেছিল পনের বছর বয়সী এই তিন কিশোর। এদিকে, গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধী কিশোরের সংখ্যা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ সংশোধনাগারে আগত কিশোরের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানা যায়। তবে সংস্থাটির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মনে করেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব রয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, 'আমি মনে করি না যে, ওটা দিয়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার বিস্তৃতিকে বিচার করা যাবে। আমাদের সু-সংহত কোন স্টাডি নেই।' তবে, অধ্যাপক নাজমুল হক মনে করেন, সামাজিক নানা অস্থিরতার কারণে বাড়ছে কিশোর অপরাধ। উন্নত দেশগুলোর মত রেটিং পদ্ধতি চালু করা হলে অভিভাবকদের জন্য সুবিধা হবে বলে মনে করেন এ মনোবিজ্ঞানী। আর এ ব্যাপারে সরকারি নীতিমালা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
সাম্প্রতিক ঘটনা বলছে, এ প্রভাব সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কিশোর বয়সের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে প্ররোচনা যোগাচ্ছে এই ধরনের অনুষ্ঠান। মনোবিজ্ঞানী মনে করেন, এ বিষয়ে প্রয়োজন অভিভাবকের নজরদারি আর রাষ্ট্রের সঠিক নির্দেশনা। বয়সটাই উচ্ছলতার। কিন্তু পাঠ্যপুস্তক আর পরীক্ষার বাইরে, এ শিশু কিশোরদের জীবন বন্দি টেলিভিশনের পর্দায়। কি দেখছে তারা টেলিভিশনে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হক মনে করেন, এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাদের মনে। তিনি বলেন, 'ছবিতে যে হিংসাত্মক ভূমিকা দেখছে, শিশুরা নিজেকে ওই জায়গায় নিয়ে যায়। সেও তখন চেষ্টা করে এ ধরণের কাজ।' আগস্ট মাসে পাবনায় মারা যায় এগারো বছর বয়সী আরাফাত রহমান। হত্যাকারী প্রতিবেশী তিন শিশুর কাছ থেকে জানা যায়, টিভিতে দেখা অপহরণের দৃশ্য অনুকরণ করে তার গলায় ফাঁস লাগিয়েছিল তারা। একই সময়ে নাটোরে এক সহপাঠীকে খুন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এরা। আটকের পর স্বীকারোক্তিতে তারা বলেছে, একটি হিন্দি সিরিয়াল দেখে টাকার জন্য খুনের পরিকল্পনা করেছিল পনের বছর বয়সী এই তিন কিশোর। এদিকে, গাজীপুর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধী কিশোরের সংখ্যা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ সংশোধনাগারে আগত কিশোরের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানা যায়। তবে সংস্থাটির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মনে করেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব রয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, 'আমি মনে করি না যে, ওটা দিয়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার বিস্তৃতিকে বিচার করা যাবে। আমাদের সু-সংহত কোন স্টাডি নেই।' তবে, অধ্যাপক নাজমুল হক মনে করেন, সামাজিক নানা অস্থিরতার কারণে বাড়ছে কিশোর অপরাধ। উন্নত দেশগুলোর মত রেটিং পদ্ধতি চালু করা হলে অভিভাবকদের জন্য সুবিধা হবে বলে মনে করেন এ মনোবিজ্ঞানী। আর এ ব্যাপারে সরকারি নীতিমালা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
