![]() |
| রাজন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও ৪ জন |
নিউজ ডেস্কঃ শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ৩য় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আজ আদালতে আরও ৪ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন-রাজনের গ্রাম বাদেআলির ইশতিয়াক আহমদ রায়হান, নিজাম উদ্দিন, পার্শ্ববর্তী গ্রাম অনন্তপুরের আবদুজ জাহির মেম্বার, শেখপাড়ার পংকি মিয়া। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় ১০ জন সাক্ষ্য প্রদান করছেন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী ব্রেকিংনিউজকে জানান, মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবার হোসেন মৃধা বুধবার দুপুর ১২টা থেকে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন। গত ৪ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন রাজনের মা লুবনা বেগম, জিয়াউল হক, আল আমিন ও মাসুক মিয়া। তবে মাসুক মিয়া আসামিপক্ষে কথা বলা শুরু করলে বাদীপক্ষের আইনজীবিরা তাকে বৈরি ঘোষণা করতে আদালতে আবেদন জানান। এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মামলার বাদী জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) (বরখাস্তকৃত) আমিনুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তারও আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযুক্তরা হলেন- সৌদিতে আটককৃত জেলা সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আবদুল মালিকের ছেলে কামরুল ইসলাম, পলাতক থাকা তার ভাই শামীম আহমদ, পলাতক থাকা দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল, কামরুলের ভাই গ্রেফতারকৃত মুহিদ আলম, আলী হায়দার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী। অ্যাডভোকেট মফুর আলী আরও জানান, হত্যার পর লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগে আদালতের বিচারক মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল ও শামীম আহমদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ এনেছেন। অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানিয়েছেন, মামলাটি দ্রুত শেষ করার লক্ষে আগামী ৮, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সৌদিতে আটককৃত কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ এবং আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। আদালত ২৪ আগস্ট, সোমবার চার্জশিট আমলে নেন। পরদিন, ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ। গত ৩১ আগস্ট রাজন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পলাতক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
