নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ হারানো আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আকস্মিকভাবেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে ১৫ মিনিটের এক বক্তৃতা শেষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। সংসদ সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী। এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে দেয়া বক্তৃতায় লতিফ সিদ্দিকী হজ নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। শেষ পর্যায়ে সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এর আগে গত ২৩ আগস্ট নিজের সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার বিতর্কের শুনানিতে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওই শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করব। এটি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, শুনানির কিছু নেই।' তার এ বক্তব্য শুনে ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ঠিক করে ইসি। সংসদে দেয়া বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংসদ সদস্যপদ ছাড়লেন তিনি। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর প্রথমেই মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বাদ দেয় সরকার। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করে দলটি। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দু'পক্ষকে নিয়ে শুনানির আয়োজন করে ইসি। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-৪ আসনের চার বারের সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিলেন। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।