অগ্রসর হচ্ছে 'কোমেন', উপকূলীয় অঞ্চলে নিহত ৩

অগ্রসর হচ্ছে 'কোমেন', উপকূলীয় অঞ্চলে নিহত ৩
অগ্রসর হচ্ছে 'কোমেন', উপকূলীয় অঞ্চলে নিহত ৩
নিউজ ডেস্কঃ গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কোমেন ক্রমশ চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৭ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় সেন্টমার্টিন, ভোলা ও পটুয়াখালীতে তিনজন নিহত ও আরো ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার নৌরুটে সবধরনের নৌ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। পটুয়াখালী: সময় যত গড়াচ্ছে একটার পর একটা ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে আশংকাজনকভাবে। বিশাল বিশাল ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে সমুদ্র সৈকতে।সন্ধ্যার পরে ঘূর্ণিঝড় কোমেন আঘাত হানার কথা থাকলেও খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকা কুয়াকাটায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে মৎস্য বন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সাগরে থাকা সব মাছ ধরা ট্রলার। নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের।
কক্সবাজার: এদিকে, কোমেন এর প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বুধবার রাতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশের পর সকাল থেকে লোকজন স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে। সেন্টমার্টিনে গাছ চাপায় মারা গেছেন একজন। এছাড়া টেকনাফের সাবারাং বাহারছড়া, শাহপরীর দ্বীপে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিমান চলাচলও।
ভোলা: ভোলার চর কুকরি-মুকরি, মনপুরা, লালমোহনে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়াসহ থেমে থেমে বৃষ্টি। বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছ পালার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম: কোমেনের প্রভাবে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। এতে বন্দরে ৩ নম্বর রেড অ্যালার্টের কারণে জেটি থেকে পণ্য খালাসসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর ঘাটে থাকা লাইটারেজ জাহাজগুলো তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর: এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ-র নির্দেশে বরিশাল, চাঁদপুর ও মাদারীপুরসহ উপকূলীয় এলাকায় সব ধরণের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে উপকূলীয় এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

Post a Comment

Previous Post Next Post