ত্বক চর্চায় লেবুর ব্যবহার

ত্বক চর্চায় লেবুর ব্যবহার
ত্বক চর্চায় লেবুর ব্যবহার
ত্বক আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে সৌন্দর্য। যার ত্বক যতবেশি সতেজ থাকে তাকে ততবেশি আকর্ষণীয় দেখায়। সাধারণত ত্বক শুষ্ক ও তৈলাক্ত এধরণের হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত শুক্ত ও তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাদের ত্বক মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক তাদের সমস্যা হল রুক্ষতা। আর তৈলাক্ত ত্বকে সহজে ব্রণ উঠে যায়। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ত্বকের সাথে উপযুক্ত ক্রিম নির্বাচনে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ ও দুশ্চিন্তাহীন। তার মধ্যে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লেবু। সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। রূপচর্চার জন্য লেবু একটি শ্রেষ্ঠতম উপাদান। লেবুর কার্যকরী ও এন্টিটক্সিন গুণাবলী ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে, ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। ত্বকের জন্য কার্যকরী কিছু লেবুর প্যাক নিম্নে দেওয়া হল-
  • সাধারণভাবে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। কটন বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগাতে থাকুন। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সাথে সাথে যদি জ্বালা করে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে, সেক্ষেত্রে ত্বকের উপযোগী একটি ময়েশ্চারাইজার মুখে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসে থাকে সাইট্রিক এসিড, যা ত্বকের তেল সম্পূর্ণ রূপে দূর করে এবং ত্বককে শুষ্ক ও উজ্জ্বল করে।
  • ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকরী। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সাথে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো মিশ্রণটা ত্বক শোষণ করে। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার বৃদ্ধি পায়।
  • ডিমের সাদা অংশের সাথে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস, কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে নিন। এই প্রলেপটি আস্তে আস্তে ত্বকে মাখুন। ২০ মিনিট মতো রাখুন। শুকিয়ে যাবার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post