![]() |
পৃথিমপাশা নবাব বাড়ীর মসজিদ |
মৌলভীবাজার। বাংলাদেশের এক সবুজে ঘেরা প্রকৃতির লীলাভূমি। এ জেলাকে দু’টি পাতা একটি কুড়ির জেলাও বলা হয়ে থাকে। কেননা, দেশের মোট ১৬১টি চা বাগানের মধ্যে ৯৮টি চা বাগান রয়েছে এ জেলাতে। মৌলভীবাজারের আয়তন ২৭৯৯ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা ১৬ লাখ ১২ হাজার ৩শ’৭৪জন, উপজেলা রয়েছে ৭টি, রয়েছে ৫টি পৌরসভা, ইউনিয়ন ৬৭টি এবং গ্রাম রয়েছে ২১৩৪টি। এ জেলার শিক্ষার হার ৪২.০৬%। (পুরুষ-৪৫.৫৯% এবং মহিলা-৩৮.৪৫%)। মুক্তিযুদ্ধে জেলাটি ছিল ৪নং সেক্টরের অংশ।
জমিদার বাড়ির চিত্র চোখের সামনে ফুটে উঠতেই মনে হয় অনেক অনেক দিন আগের ভাঙাচোরা পলেস্তার খসে যাওয়া দেওয়াল, কোনো লোকের বাস নেই, দেওয়ালের গা বেয়ে গজিয়ে উঠেছে বটগাছ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়ি পুরানো হলেও আজও বাড়িটি সাজানো গোছানো। প্রায় দু’শ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পৃথি¦মপাশা জমিদার বাড়ি। বাড়ির কারুকার্যময় আসবাবপত্র, মসজিদের ফুলেল নকশা, ইমামবাড়া, সুবিশাল দীঘি যেকোনো ভ্রমণপিপাসুকে কাছে ডাকবে। তবে জমিদার বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এখানকার ইমামবাড়া।
![]() |
জীবন্ত কিংবদন্তি পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়ি |
![]() |
সিলেটের বিখ্যাত আলী আমজাদের ঘড়ি |
![]() |
পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়ির শান বাধানো ঘাট |
তিনটি ছোট-বড় শান বাঁধানো
ঘাট রয়েছে দীঘিতে। পশ্চিম পাড়ে জমিদারের সারিবদ্ধ স্থাপনা আর পূর্বপাড়ে
পরলোকগত পৃত্থিমপাশার সব জমিদার ও পরিবারের সদস্যদের কবরস্থান। এই দীঘির
দু’পাড়ে হাজি খাঁ এবং শাহ ডিঙ্গির মাজার রয়েছে যা দেখতে অন্যান্য মাজারের
চেয়ে আলাদা। পৃত্থিমপাশায় রয়েছে দু’টি জমিদার বাড়ি। এই বাড়ির ভেতর
আপনি যখন যাবেন তখন পুরানো আমলের কারুকাজ খচিত সবকিছু মনে হলেও সেগুলো
পরিষ্কার ঝকঝকে তকতকে দেখতে পাবেন। জমিদারদের ব্যবহার করা অনেক জিনিসপত্র
রয়েছে এ বাড়িতে। রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য এখানে লোক রয়েছে। জমিদারদের
জমিদারী প্রথা আজ আর নেই। তবে রয়ে গেছে সুবিশাল বাড়ি এবং তার প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য। যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন তাদের প্রত্যাশা ইতিহাস সমৃদ্ধ
বাড়িটি একদিন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়াতে আপনি দেখতে পারেন ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী রঙ্গিরকুল আশ্রম, মুড়ইছড়া ঝরনা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, গাজীপুর চা বাগান, গগন টিলা, কালা পাহাড় ও দেওয়ান মামন্দ মনসুরের বাড়ি। পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়ির আশেপাশে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। আপনাকে থাকতে হলে চলে আসেত হবে উপজেলা সদরে। এখানে রয়েছে সরকারি ডাকবাংলো ও মোটামুটি মানের হোটেল। ভাড়াও খুব একটা বেশি না।
(লেখক: পরিভ্রাজক, ভ্রমণ-ইতিহাস গবেষক, লেখক)
মৌলভীবাজারের কুলাউড়াতে আপনি দেখতে পারেন ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী রঙ্গিরকুল আশ্রম, মুড়ইছড়া ঝরনা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, গাজীপুর চা বাগান, গগন টিলা, কালা পাহাড় ও দেওয়ান মামন্দ মনসুরের বাড়ি। পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়ির আশেপাশে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। আপনাকে থাকতে হলে চলে আসেত হবে উপজেলা সদরে। এখানে রয়েছে সরকারি ডাকবাংলো ও মোটামুটি মানের হোটেল। ভাড়াও খুব একটা বেশি না।
(লেখক: পরিভ্রাজক, ভ্রমণ-ইতিহাস গবেষক, লেখক)