![]() |
চিরনিদ্রায় শায়িত চাষী নজরুল ইসলাম |
এক কিংবদন্তির প্রস্থান বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত চাষী নজরুল ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদক পাওয়া দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা চাষী নজরুল ইসলামকে গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কোলাপাড়া ইউনিয়নের সমষপুর তার বাবা মোসলেহউদ্দিনের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। গত সোমবার এফডিসিতে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অব অনার ও বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে তার মরদেহ বিকাল সোয়া ৩টায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে আনার পর আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত ১১ জানুয়ারি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাষী নজরুল ইসলাম মারা যান।
তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ পরিচালনা করেন ১৯৭২ সালে। ছবিটি ব্যাপক প্রশংসা পায়। এরপর ‘সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘হাসন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’র মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। ১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী-আনোয়ারাকে নিয়ে ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিয়োগান্ত এই কাহিনী নিয়ে ২০১৩ সালে আবার শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্রটি। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’, ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।