বড়লেখায় মৃত গরুর মাংস বিক্রিকালে অভিযান



স্টাফ রিপোর্টার: বড়লেখা উপজেলার রতুলী বাজারে ‘মামা-ভাগ্না’ নামক খসাইখানায় রোববার সকালে স্থানীয়রা মৃত গরুর মাংস বিক্রিকালে ব্যাপক মাংস আটক করেন। দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ওই মাংসগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন।

এসময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: রেদুয়ানুল হক, উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আব্দুস সহিদ, রতুলী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম সাজু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছয়দুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, জনৈক আব্দুল আজিজ উপজেলার রতুলী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়াই খসাইখানা খুলে মাংস বিক্রি করছেন। প্রায়ই পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রাম এলাকা থেকে তিনি মৃত গরু জবাই করে কৃত্রিম রক্ত মিশিয়ে মাংস বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠে। রোববার সকালে তিনি বারইগ্রাম এলাকা থেকে একটি মৃত গরু জবাই করে রতুলী বাজারে বিক্রির জন্য মাংস নিয়ে আসেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজন তা আটক করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলামের নির্দেশে সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. রেদুয়ানুল হক ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইনের নির্দেশে উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আব্দুস সহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাংস থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হতে দেখেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় নিয়ম বহির্ভুত জবাই ও অবৈধভাবে মাংস বিক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন। দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন ভ্রাম্যামাণ আদালত চালিয়ে জব্দ পঁচা মাংস মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, লাইসেন্স ছাড়া পশুর মাংস বিক্রির নিয়ম নেই। তাছাড়া পশু জবাইর আগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র নিতে হয়। এক জেলায় জবাই করে অন্য জেলায় নিয়ে মাংস বিক্রি সম্পুূর্ণ অবৈধ। এ মাংসের দোকানের লাইসেন্সও ছিল না।

স্থানীয় লোকজন মৃত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ করায় এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রাথমিক পরীক্ষায় মৃত মনে হওয়ায় মাংসগুলো মাটিচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দোকানের মালিক পক্ষ সটকে পড়ায় জরিমানা করা যায়নি। তবে পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post