কুলাউড়ায় দেড় মাস থেকে বন্ধ লংলা রেল স্টেশন



নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলার অন্যতম লংলা রেলওয়ে স্টেশনটি প্রায় দেড় মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। দায়িত্বরত একমাত্র স্টেশন মাষ্টারকে লংলা থেকে অন্য স্টেশনে বদলী করে নেওয়ায় স্টেশনটি বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়েছে সিলেট-ঢাকা ও চট্রগ্রামগামী আন্ত:নগর ট্রেন সহ যাত্রীরা। স্টেশনটি বন্ধ থাকায় ক্রসিং বিড়ম্বনা পড়া কোনো কোনো ট্রেন ৩০-৩৫ মিনিট বিলম্বে গন্তব্যস্থলে পৌছতে হচ্ছে।

সরেজমি গিয়ে দেখা যায়, সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের অন্যতম লংলা স্টেশনটি জন-মানবহীন নিরব-নিভূতে দাড়িয়ে আছে। নেই কোনো কোলাহল বা যাত্রী ও হকারদের ব্যস্থতা। স্টেশনের কর্তব্যরত মাষ্টার রজত রায়কে প্রায় দেড় মাস আগে সিলেটের মোগলা বাজার রেল স্টেশনে বদলী করে দেওয়ায় স্টেশনের কার্যক্রম একেবারে বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা। মাষ্টার চলে যাওয়ায় স্টেশনের ক্রসিং সিস্টেম বন্ধ করায় ওয়ানওয়ে লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। স্টেশনটি বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্রসিং বিড়ম্বনা পড়তে হচ্ছে আন্ত:নগর ট্রেনগুলোকে। স্টেশন চালু থাকা অবস্থায় সিলেট অভিমূখী যে কোনো ট্রেন সমশেরনগর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসলে এবং কুলাউড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা বা চট্রগ্রাম অভিমূখী যে কোন ট্রেনকে মধ্যবর্তী লংলা স্টেশনে দাড় করিয়ে ক্রসিং দেওয়া হতো। কিন্তু এ স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমশেরনগর স্টেশনে দাড়িয়ে থাকা সিলেট অভিমূখী যে কোনো ট্রেনকে কুলাউড়া রেল স্টেশনে নতুবা কুলাউড়ায় দাড়িয়ে থাকা ঢাকা বা চট্রগ্রাম অভিমূখী ট্রেন গুলোকে সমশেরনগর স্টেশনে ক্রসিং নিতে হয়। উভয় স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২০-৩০ কিমি। যে ট্রেনকে দাড় করিয়ে ক্রসিং দেয়া হয় ওই ট্রেনকে ৩০-৩৫ মিনিট বিলম্বে গন্তব্যস্থলে পৌছতে হচ্ছে। ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়ে ট্রেনগুলো বিলম্বে ছাড়ার কারনে এতে যাত্রীরা নানা ভোগান্তির সম্মূখীন হচ্ছেন প্রতিদিন।

লংলা স্টেশন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনজু খাঁন,একে উজ্জল ও খোকন মিয়া জানান, মাষ্টারের অভাবে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। স্টেশন চালু থাকা অবস্থায় লোকাল মেইল ট্রেন স্টেশনে থামলে যাত্রীরা ইচ্ছেমতো মালামাল নিয়ে অনায়েশে ট্রেনে উঠা নামা করতে পারতো। কিন্তু এখন স্টেশনটি বন্ধ থাকায় একমাত্র লোকাল মেইল ট্রেনটি মেইন লাইন দিয়ে এসেই হুইসেল দিয়ে চলে যায়। প্লাটফর্ম না থাকায় এতে অনেক যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে উঠা নামা করতে গিয়ে পড়ে আহত হন। আবার অনেকে ট্রেনের যাত্রা মিস করেন।

এব্যাপারে সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের পরিবহন পরিদর্শক (টিআইটি) তৌফিকুল আজিম মুঠোফোনে বলেন, সারাদেশে স্টেশন মাষ্টার সংকট রয়েছে। এতে অনেক রেল স্টেশন মাষ্টারের অভাবে বন্ধ রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় লংলা রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। সিলেটের মোগলা বাজার স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ন হওয়ায় লংলা রেল স্টেশনের মাষ্টার রজত রায়কে সেখানে বদলী করা হয়েছে। সরকার নতুন স্টেশন মাষ্টার নিয়োগ দিচ্ছে। তাই আশা করা যাচ্ছে ৫-৬ মাসের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post