টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ভারতের শ্বাসরুদ্ধকর জয়



স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্ব মঞ্চে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত আরও একটি শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের স্বাদ পেয়েছে। পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শেষ বলে ৪ মেরে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বিরাট কোহলিরা।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল। নাসিম শাহের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪ রান করেন রাহুল। আরেক ওপেনার ও দলনেতা রোহিত শর্মাও আউট হয়েছেন ৪ রানেই। এদিকে ৩ বলে ২ রান করে রান আউট হয়েছেন অক্ষর প্যাটেল।

মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকেই যায় ভারত। এমতাবস্থায় পঞ্চম উইকেট জুটিতে হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। দলকে দেখান জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলে পান্ডিয়া ফিরলেন ভাঙে ১১৩ রানের জুটি। ৩৭ বলে ৪০ রানে আউট হন পান্ডিয়া। তাতে আবারও হারের শঙ্কা দেখা দেয়।

কিন্তু এরপরও জয়ের স্বপ্ন দেখা ছাড়েনি ভারতীয় শিবির। কেননা ক্রিজে তখনও ছিলেন বিরাট কোহলি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রানের। যা অনায়াসের তুলে নেন। আর দলও জয় পায় ৬ উইকেটের। মাত্র ৫৩ বলে খেলা বিরাট কোহলির ৮২ রানের ইনিংসটি ছয়টি চার ও চারটি ছযে সাজানো।

এর আগে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় দলনেতা রোহিত শর্মা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শূন্যরানে বাবর ও ১২ বলে মাত্র ৪ রানে আউট হন মোহাম্মদ রিজয়ান।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন শান মাসুদ ও ইফতেখার। ৭৬ রানের জুটি গড়েছেন এই দুই ব্যাটার। দ্রুতই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ইফতেখার। তবে ইনিংসটা আর বড় করা হয়নি। ৩৪ বলে ৫১ রানে আউট হয়েছেন তিনি।

এরপর সুবিধা করতে পারেননি কেউই। ৫ রানে শাদাব খান, ২ রানে হায়দার আলি, ৯ রানে মোহাম্মদ নেওয়াজ, ২ রানে আসিফ আলি ও ১৬ রানে আউট হন শাহিন আফ্রিদি। এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান শান মাসুদ। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ৪২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ৬ রানে অপরাজিত থাকেন রউফ।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন আর্শদ্বীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ সামি ও বুভনেশ্বর কুমার।

Post a Comment

Previous Post Next Post