সমন্বিত খামার ঘিরে আসম কামরুল ইসলামের স্বপ্ন



নিউজ ডেস্কঃ পরিবার, রাজনীতি, জনসেবা এসব ব্যস্ততার মাঝেও মিশ্র ফল ও সবজি বাগান এবং মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম। তার বাবা কুলাউড়ার সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল জব্বারও জনসেবার পাশাপাশি কৃষিকাজে ছিলেন প্রবল আগ্রহী। বাপ-দাদার পৈতৃক জমিতে কামরুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন ‘আয়েশা এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি’ নামে একটি সমন্বিত খামার বাড়ি। সফলও হয়েছেন।  সরজমিন কুলাউড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আলালপুর গ্রামে গেলে কথা হয় আসম কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ২০০৬ সাল থেকে বাড়ির পাশে পৈতৃক সম্পদ প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ‘আয়েশা এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি’ নামে একটি সমন্বিত খামার বাড়ি। আরও ১৫ বিঘা জমিতে আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে রয়েছে বিভিন্ন দুর্লভ ও উন্নত জাতের ধান চাষ। রয়েছে একটি গরুর খামার। এই প্রকল্পের মাধ্যমেও তিনি লাভবান হচ্ছেন। দেখা যায়, ছোট-বড় সাতটি পুকুরে গড়ে তোলেন মৎস্য খামার।

পুকুরের চার পাশে রয়েছে দেশি ও ভিয়েতনামী নারিকেল, সব জাতের কলা, লেবু, থাই পেয়ারা, বাউকুল, আপেল, কুলবরই, থাই পেঁপে, হাঁড়ি ভাঙ্গা ও আম্রপালি, বারি ২,৩,৪ আম, দার্জিলিং কমলা ও মাল্টাসহ নানান জাতের ফলের বাগান। রয়েছে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন শাক-সবজির বাগান। প্রতি বছর শিম, আলু, লাউ, শসা, পুঁইশাক, উন্নত টমেটো, বেগুন, ব্রুকলি, লেটুস, কেপসিকাম, মিষ্টি কুমড়া, সরিষা, মরিচ, করল্লা, বরবটি, ঢেঁড়সসহ সকল প্রকার সবজির বাম্পার ফলন হয়। তাছাড়াও উন্নত জাতের ধানের মধ্যে চিনিগুড়া, কালিজিরা, ডায়াবেটিক ধান, কালো ধান, কালো চাল, চিকনসাইল, গাজী ২৮ ও গাজী ২৯ ধান চাষেও তিনি সফল।  ছাত্রজীবন থেকেই কৃষির প্রতি কামরুল ইসলামের আগ্রহ। পিতা সাবেক এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের আজীবন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি ও একজন সফল কৃষক। দাদা আব্দুল মজিদের বিশাল কৃষি খামার আব্দুল জব্বার দেখাশোনা করতেন। কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আব্বা প্রায় বলতেন, এক সময় তেল, কেরাসিন আর নুন ছাড়া কৃষকের বাড়িতে সবকিছুই উৎপাদন হতো। গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, মহিষ, ছাগল, হাঁস, মুরগি ও পুকুর ভরা মাছ, খড়ের ঘর, সব ধরনের বর্ষা ও শীতকালীন শাক-সবজি চাষাবাদ হতো।  তিনি জানান, জনপ্রতিনিধি থাকার সুবাদে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফরকালে গ্রিন হাউজ ও বিভিন্ন আধুনিক কৃষিখামার পরিদর্শন করেন। ভবিষ্যতে তার খামার বাড়িতে গ্রিন হাউজ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক কৃষির পরিকল্পনা রয়েছে। যুব ও তরুণ সমাজকে উৎসাহিত করতে তার এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে আসম কামরুল ইসলামের প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ। তারা বলেন, রাজনীতি ও জনসেবামূলক কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি যে সমন্বিত প্রকল্প গড়ে তুলেছেন তা থেকে অন্যরা অনুপ্রেরণা পাবেন। তার আগ্রহ ও সঠিক পরিকল্পনা তাকে সফল উদ্যোক্তার কাতারে নিয়ে দাঁড় করাবে। - মানবজমিন

Post a Comment

Previous Post Next Post