সাবেক এম পি মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী



এইচ ডি রুবেলঃ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষকলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং একুশে পদক -এ ভূষিত মরহুম আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যাঁরা আজীবন বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছন, প্রয়াত নেতা আব্দুল জব্বার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। মরহুম আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন তিনি গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ কৃষকলীগ, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বার-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা পর আব্দুল জব্বার ১৭ই আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা আয়োজন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয় এবং এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নূর রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে, ভোররাতে হত্যার জন্য ব্রাশ ফায়ার করতে গেলে তৎকালীন সেনা অফিসার জনাব আমিন আহমেদ চৌধুরী তাকে উদ্ধার করেন এবং তিনি প্রাণে বেঁচে যান। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করলে আবারও গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

একুশে পদক-এ ভূষিত, জনাব আব্দুল জব্বার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদে স্বোচ্চার থেকেছেন সবসময়। মাটি ও মানুষের সাথে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। মরহুম আব্দুল জব্বারের ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তার সততা ও জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post