চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখস বেপরোয়া; অনাস্থা প্রস্তাব ৭ ইউপি সদস্যের



স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন ইউনিয়নের ৭ জন মেম্বার। ২৮ আগস্ট রোববার মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।

মেম্বারদের এই অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে মেম্বারগণ অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি এলাকার সকলপ্রকার অনৈতিক ও অপরাধজনক কর্মকান্ডে সাথে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ ছিলো এখনও আছে। মেম্বারদের সাথে কোনরকম সমন্বয় ও পরামর্শ ছাড়াই মনগড়া পরিষদ চালাচ্ছেন। মানুষের সাথে এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বারদের সাথে খারাপ আচরণ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বিভিন্ন সনদ প্রদানে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র ছাড়াও প্রতি অতিরিক্ত টাকা আদায়, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করিয়ে অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের আয়ের টাকা একাউন্টে জমা না করে নিজের পকেটে রেখে ব্যয় করেন। যার কোন হিসাব নিকাশ নেই। নিজের অপকর্ম নিয়ে যাতে মেম্বাররা কথা না বলে সেজন্য তিনি জনসম্মুখে মেম্বারদের সাথে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন।

এমন অপকর্ম ও অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদে গত ১৬ আগস্ট পরিষদের ৭জন মেম্বার এক সভার আয়োজন করে চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অনাস্থা প্রস্তাবকারী মেম্বারগণ হলেন- নুর আহমদ চৌধুরী বুলবুল, আব্দুল মুজিদ, সেলিনা আক্তার, মো. সাইস্তা মিয়া, আব্দুল মুনিম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সেলিনা আক্তার।

এছাড়াও মেম্বারগণ চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুস্পষ্ট ১১টি অভিযোগ করেছেন। তারা সেইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি।

এ প্রসঙ্গে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখস জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাদের সাথে কোন ঝামেলা হয়নি। কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে তাও জানি না।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post