নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পালিত হলো গারো সম্প্রদায়দের নবান্ন উৎসব ওয়ানগালা। চলমান বছরের প্রথম ফসল তাদের দেবতা মিসি ও সালজং এর নামে উৎসর্গ করে তারা শুরু করে নতুন বছরের জীবন।
রোববার ১৪ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া (গারো লাইন) মাঠে শ্রীচুক আচিক আসং নকমা এসোসিয়েশন ও শ্রীচুক গারো যুব সংগঠনের আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় ।
এ উৎসবে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়া আয়োজন করা হয় গারোদের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও আলোচনা সভা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামসহ ঢাকা থেকে আগত তাদের পুরহিত।
অনুষ্ঠানে তাদের পুরহিত (কামাল) জংসন ম্রি মোরগ কেটে এর ভিতরের খাদ্য নালি দেখে আগামী বছর কেমন কাঠবে এর ভবিষৎবাণী করেন। পুরহিত জংসন ম্রি মোরগের খাদ্যনালী দেখে বলেন, দেশ একটি দু:সময় কাটিয়ে ভালো দিকে এগুচ্ছে। এ বছর দেশে শস্য উৎপাদন ভালো হবে আর মানুষের মেলবন্ধন সুদৃঢ় হবে। স্বামী-স্ত্রীর সু-সর্ম্পক গভীর হবে এতে সংসার জীবনে উন্নতি আসবে।
এদিন সকাল ৯টায় ‘থক্কা’ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সিলেট ধর্ম প্রদেশ এর বিশপ শরত ফ্রান্সিস গমেজ।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে গারো সম্প্রদায়ের মানুষ এই ওয়ান গালার উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবে দেবতা সূর্য ও মিসি এবং সালজং এর উদ্দেশ্যে নতুন ফসল উৎসর্গ করা হয়। এসময় নতুন বছর যেন ফসল ভালো হয় সে জন্য তারা তাদের দেবতা মিসি এবং সালজং এর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করে থাকেন।