কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃথিমপাশার সদপাশা গ্রামে অনুমোদনের আবেদন না করেই করাতকল বসানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে এই ইউনিয়নের রবিরবাজারে দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আরো ১৩টি করাতকল রয়েছে। নতুন করে ওই এলাকার মুড়ইছড়া বিটে আরেকটি করাতকল স্থাপিত হওয়ায় উপজেলার বনবিটের গাছ উজাড় ও এলাকার পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
কুলাউড়া বনবিভাগ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, উপজেলায় যতটি করাতকল রয়েছে এরমধ্যে অধিকাংশ রবিরবাজারে। উপজেলার অনেকটি করাতকলের অনুমোদন নেই। আদালতে দায়ের করা রিট জারী করে এগুলো চলছে। তাই আইনী জটিলতায় অনুমোদনহীন করাতকলগুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছেনা। আবেদন ও অনুমোদন ছাড়া নতুন করাতকল স্থাপনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশার সদপাশা গ্রামে সড়কের পাশে মো. রেজাউর রশীদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা নতুন একটি করাতকলের যন্ত্রাংশ স্থাপন করেছেন। এর পাশেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত দেড় মাস ধরে নতুন করাতকলটি স্থাপতি হলেও এর অনুমোদনতো দূরের কথা অনুমোদনের জন্য আবেদনও করেননি। স্থানীয়দের দাবি আবেদন করার আগে করাতকল স্থাপন করা একটি অপকৌশল। পরে আবেদন করে অনুমোদন না পেলেও আদালতের একটি রিট জারী করে সেটি চালানো হবে। এরকম কৌশলে এই এলাকায় বেশকয়েকটি করাতকল চালু রয়েছে। বনবিভাগ বিষয়টি নজরদারী রাখার কথা। কিন্তু বনবিভাগের লোকজন বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করেন।
এলাকাবাসী জানান, এক দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে একডজন করাতকল রয়েছে। শুধু এই উপজেলা নয় পুরো জেলায় এক দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এত করাতকল নেই। অধিক করাতকল বন উজাড় ও পরিবেশ হুমকিতে ফেলতে পারে।
নতুন স্থাপিত করাতকলের মালিক মো. রেজাউর রশীদ বলেন, আমি এখন শুধু এটি বসিয়েছি। চালু করিনি এখনো। কিছুদিনের মধ্যে আবেদন করবো। অনুমোদন পেলে চালাবো। নয়তো আর চালাবো না।
কুলাউড়া বনবিভাগ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, উপজেলায় যতটি করাতকল রয়েছে এরমধ্যে অধিকাংশ রবিরবাজারে। উপজেলার অনেকটি করাতকলের অনুমোদন নেই। আদালতে দায়ের করা রিট জারী করে এগুলো চলছে। তাই আইনী জটিলতায় অনুমোদনহীন করাতকলগুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছেনা। আবেদন ও অনুমোদন ছাড়া নতুন করাতকল স্থাপনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।