কুলাউড়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে ফের নৌকা

 



বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিককে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন কর্মধার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। মৌলভীবাজার জেলা ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে লিখিত আবেদনে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিলো ।

কর্মধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মছদ্দর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আপ্তাব আলীসহ ৯টি ওয়ার্ডে সভাপতি সম্পাদক এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের স্বাক্ষরিত এই আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত নির্বাচনে আতিক দলীয় মনোয়ন পাওয়ার পর তার সঙ্গে কোনো বিদ্রোহী প্রাথী ছিলেন না। সেই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হওয়ার দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন এম এ রহমান আতিক ।

নির্বাচিত হওয়ার ৪ মাস পরই মৌলভীবাজারে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমানের বিরোধীতা করেন প্রকাশ্যে। এরপর সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধীতা করেন তিনি । আওয়ামী পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রেখে তিনি অনিয়ম-দূর্নীতি জড়িয়ে পড়েন । টাকা ছাড়া দিতেন না সরকারি কোনো সেবা 

এ প্রসঙ্গে কর্মধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মছদ্দর আলী বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আতিককে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জেলা ও উপজেলা কমিটির কাছে আবেদন করেছিলাম । সে আসলেই একজন বিতর্কিত লোক। তার কারনে কর্মধায় দলের ভাবমুর্তি অনেকটা ক্ষুন্ন হয়েছে। দলের আর কোনো ক্ষতি আমরা চাই না। এর আগের উপজেলা কমিটিতে তাকে না রাখার জন্যও আমার জেলা ও উপজেলা কমিটির কারে লিখিত আবেদন করেছিলাম । কর্মধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মছদ্দর আলী আরো বলেন এতো অভিযোগের পরেও অভিযোক্ত ব্যক্তিকে ফের নৌকা দেয়া হলো , আমরা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাছাই লিস্টে ৩ নম্বরে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছি কিন্তু কেন্দ্র থেকে কিভাবে সে নৌকা পেল তা আমরা জানিনা ।

এর আগে বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক কর্মধা টাট্রিউলী গ্রামে নির্বাচনী জনসভায় জনসম্মুখে এক বক্তব্যে বলেছিলেন কুলাউড়া উপজেলায় আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে নাম না দিলে তিনি যতো টাকা লাগে কেন্দ্র থেকে নৌকা ক্রয় করে এনে দেখাবেন বলে এলাকায় প্রচার করেছেন , এ বিষয়ে এম এ রহমান আতিকের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি নির্বাচনের কাজে আছেন বলে ফোন বন্ধ করে দেন ।

Post a Comment

Previous Post Next Post