ট্রেন মাইক্রোবাস সংঘর্ষ; বিয়েবাড়িতে যাওয়া হলো না বাবা-ছেলের



নিউজ ডেস্কঃ  কুলাউড়ার ভাটেরা এলাকায় রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত দুজন হলেন ফরিদ মিয়া (৪৮) ও আফিফ (৮)। তারা দুজন বাবা-ছেলে।

তাদের বাসা সিলেট নগরীর লোহারপাড়া এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন ১২/১-এ। এ দুর্ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।



জানা গেছে, হতাহতরা দুটি মাইক্রোবাসযোগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে অংশ নিতে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরার হোসেনপুর যাচ্ছিলেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে হোসেনপুর নামক স্থানে একটি মাইক্রোবাসটি যাওয়ামাত্র সিলেটগামী চলন্ত ট্রেন মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ফরিদ মিয়া আফিফ ঘটনাস্থলেই মারা যান।

পরে হতাহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে প্রেরণ করেন।

দুর্ঘটনার পর সিলেটের পথে রেল যোগাযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও ২ ঘণ্টা পর তা ফের সচল হয়।



ওসমানী হাসপাতালে উপস্থিত ফরিদ মিয়ার ভাগ্নি তানজিনা বেগম বলেন, দুটি মাইক্রোবাসে (নোয়াহ) করে তারা সকলে ভাটেরায় এক আত্মীয়ের বিয়েতে যাচ্ছিলেন। একটি মাইক্রোবাস আগে ছিলো। পেছনের মাইক্রোবাসটিকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে তার মামা ও মামাত ভাই নিহত হন। এছাড়া তানজিনার মামি, মামাতো বোন, খালাসহ ৬ জন আহত হন।

Post a Comment

Previous Post Next Post