অবশেষে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন



নিউজ ডেস্কঃ গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ হওয়ায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের দক্ষিন বর্ষিজোড়া এলাকার মাহদী ভেরাইটিজ ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী করোনা পজিটিভ সৈয়দ এখলাছ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন করছেন প্রশাসন।

শুক্রবার ৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা রহমান এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা দক্ষিণ বর্ষিজোড়া এলাকায় তার দোকান ও বাড়ি লকডাউন করেন।

ইউএনও বলেন,করোনা আক্রান্ত একলাছ মিয়াকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন এবং কোন প্রকার সমস্যা হলে উপজেলা প্রশাসননের সাথে যোগাযোগের জন্য বলেন।

উল্লেখ্য শুক্রবার ৩০ জুলাই সকালে সরেজমিনে গেলা দেখা যায় তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে মালামাল বিক্রি করছেন। যারা ওই দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করছেন তাদের জানা নেই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করছেন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে সৈয়দ এখলাছ আলী করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলে তার শরীরে গত ২৭ জুলাই সিলেট শাহ্ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট রিপোর্টের তালিকার ১৯৯ ক্রমিককে সৈয়দ এখলাছ আলী করোনা পজেটিভ তালিকায় রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় করোনা পরীক্ষা করে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাদের বাসা-বাড়ি ও চলাচল কেউ নজরদারী করছেনা। যে কারণে তারা হরহামেশাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আক্রান্তরা। করোনা আক্রান্ত সৈয়দ এখলাছ আলী বলেন, আমার করোনা হয়েছে বাড়িতে থাকি মাঝে মধ্যে নিজ দোকানে যাই।

সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, আমরা প্রতিদিন টেস্ট রিপোর্টের ফলাফল উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকি। সৈয়দ এখলাছ আলী ২৭ জুলাই আসা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। আক্রান্ত হয়েও কেউ দোকানদারি করলে এটি ঠিত হবেনা।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি কোন ভাবেই দোকানদারি করতে পারেনা। এবিষয়টি জানার পর সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের নিয়ে দক্ষিণ বর্ষিজোড়া এলাকায় তার দোকান ও বাড়ি লকডাউন করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post