কুলাউড়ায় পৌরসভার অর্থায়নে সচল হলো সিসি ক্যামেরা



নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শহরের নিরাপত্তার জন্য স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) দীর্ঘদিন অচল ছিলো। শহরের নিরাপত্তা রক্ষায় অবশেষে আবার সেগুলো সচল ও রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব নিলো পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কুলাউড়া থানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা পুনরায় সচল করা হয়।

জানা যায়, ২০১৭ সালে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে শহরের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ও শহরে চলাচলকারী জনসাধারণের নিরাপত্তায় ২৫টি  ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আজম জে চৌধুরীর অর্থায়নে এ সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়। এগুলো পর্যেবক্ষণের দায়িত্ব নেন কুলাউড়া থানা পুলিশ। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে বছর দুয়েকের মধ্যে অচল হয়ে যায়। কুলাউড়া থানা ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ২০১৯ সালে আবার সেগুলো সচল করেন। গত বছর থেকে এগুলো পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। এরপর চলতি বছর নবনির্বাচিত পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদকে বিষয়টি জানানো হয় এবং সিসি ক্যামেরাগুলো পুনরায়সচলের অনুরোধ করা হয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ও পৌরশহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো সচলের উদ্যোগ নেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার পৌরসভার অর্থায়নে সেগুলো আবার সচল হয়েছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো পুনরায় সচল হওয়ায় পৌরশহরসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। যেকোন অপরাধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও অপরাধীকে শনাক্তে সিসি ক্যামেরা খুবই সহায়ক হবে।

কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, পৌর শহরের সিসি ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল ছিলো। ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে পৌরবাসী ও শহরের দোকানপাটের নিরাপত্তার চিন্তা করে আমরা পৌরসভার অর্থায়নে সেগুলো পুনরায় সচল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছি। এখন থেকে শহরের দোকানপাট ও জনসাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার হলো।

অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখইয়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসি বিনয় ভূষণ রায়, ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর সাইফুর রশীদ সুমন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, সহ সভাপতি হাজী রফিক মিয়া ফাতু, সাংবাদিক এমশাকিল রশীদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক এইচডি রুবেল প্রমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post