হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক, বিদেশি মদ জব্দ



নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে মিল রেখে নামসর্বস্ব সংগঠন ‘চাকরিজীবী লীগ’ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব-১।

 রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে গুলশান ২ নম্বরের বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাবের সদর দপ্তরে নেয়া হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

তিনি জানান, হেলেনার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে হরিণের চামড়া, বিদেশি মদ, ওয়াকিটকি, বিদেশি মুদ্রা, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, বেশ কিছু ধারাল ছুরি, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও নথি জব্দ করা হয়েছে। তাকে র‍্যাব সদর দপ্তরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রাতেও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।



গুলশান ২ নম্বরের ৩৬ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর ভবনের ৫ বি ফ্ল্যাটে থাকেন হেলেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনটির একজন দারোয়ান জানান, রাত ৮টার কিছু পরে র‌্যাবের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় প্রবেশ করে। রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে নিয়ে বের হন র‍্যাব সদস্যরা।

সম্প্রতি নেতা বানানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন। এটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নাম আসে হেলেনা জাহাঙ্গীরের। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় মাহবুব মনিরকে। তাদের নাম-সংবলিত পোস্টার ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

পোস্টারে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনটির দাবি, দুই-তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।

পরে অবশ্য সংগঠনটির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন হেলেনা। বলেছেন, তিনি ওই পদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেননি।

চাকরিজীবী লীগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত শনিবার আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটি থেকে বাদ দেয়া হয় হেলেনাকে। আর তাকে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদ থেকে আরও আগেই বাদ দেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

চাকরিজীবী লীগের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে মিল রেখে সংগঠন পরিচালনা করছে এমন অন্তত অর্ধশত সংগঠনের নাম আসে। এদের কেউ কেউ তাদের দলীয় প্যাডে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, যেটি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, খুব শিগগির এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post