কুলাউড়ায় শশুরবাড়ির নির্যাতনে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ


বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শশুরবাড়ির লোকজন কর্তৃক মাজেদা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২ জুলাই দুপুরে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে শশুর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায়  মাজেদার মা কবিরুন নেছা কুলাউড়া থানায় গৃহবধুর স্বামী-শাশুড়িরসহ শশুর বাড়ির ৮ জনকে আসামী করে শুক্রবার একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দশ মাস আগে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রামের আব্দুর করিমের মেয়ে মাজেদা বেগমের বিয়ে হয় হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের মো. হাছলু মিয়ার মেঝো ছেলে আব্দুল মুকিদের সাথে। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে শাশুড়ী, ননদসহ বাড়ির লোকজনেরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো মাজেদাকে। ঘটনার আগের দিন বুধবার রাতেও মাজেদাকে নির্যাতন চালায় শশুরবাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টার দিকে ঘরের ভিতর মারধর করে গলায় শ্বাসরোধের মাধ্যমে মাজেদাকে হত্যা করে শশুর বাড়ির লোকজন। ওই দিন সকাল ৮টার দিকে মাজেদার মা কবিরুন নেছাকে মোবাইলে ফোন করে তাঁর শাশুড়ি ও ননদ জানায় হৃদরোগে সে (মাজেদা) মারা গেছে। খবর পেয়ে শশুরবাড়িতে মা ও স্বজনরা গিয়ে দেখতে পান মাজেদার গলায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পিতার বাড়িতে মাজেদার লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধুর শশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
মাজেদার মা কবিরুন নেছা জানান, কিছুদিন আগে মাজেদা বাবার বাড়িতে এসে শশুর বাড়ির নির্যাতনের কথা জানায়। মাজেদা ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
বিষয়টি জানতে মাজেদার স্বামী আব্দুল মুকিদের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বলেন, গৃহবধু মাজেদার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পিতার বাড়ির লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post