বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থা স্রোত এর বই উৎসব আগরতলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ মার্চ বুধবার। ত্রিপুরা রাজ্যের এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই উল্লেখযোগ্য বই প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ত্রিপুরায় অল্প কয়েকদিন আগে রাজ্যের বই মেলা শেষ হলেও বই প্রকাশ অনুষ্ঠান এখনও উৎসবের মেজাজেই রয়েছে। আগরতলা প্রেসক্লাবে স্রোতের বই প্রকাশ অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেয়।
উৎসবে উপস্থিত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, একটা প্রকাশনা সংস্থা বছরে কয়টি বই প্রকাশ করল সেটা বড়ো কথা নয়। কী বই প্রকাশ করছে, কোন বিষয়ে করছে, কেনইবা প্রকাশ করছে? সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজের অগ্রগতির স্বার্থেই হোক বই প্রকাশ, এমনটাই উল্লেখ করলেন তিনি।
মানিক সরকার বলেন, ২০০১- ২০০২ সাল থেকে প্রকাশনার সাথে যুক্ত হয়ে প্রকাশনা জগতে প্রতিষ্ঠিত হবার পেছনে স্রোতের নিজস্ব ধারাবাহিকতা রয়েছে। যে কোনও বই প্রকাশের দায়িত্ব স্রোত প্রকাশনা নেয় না। ভালো মন্দ বিষয় থাকলেও তা আপেক্ষিক বলেই হয়তো এমন বই প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, যে বই পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যে বই মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে না। মিথ্যুক ও হিংস্র হতে সহযোগী হবে না। সমাজের অগ্রগতির স্বার্থে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক করে তুলতে সাহায্য করে স্রোতের প্রকাশিত বই।
তিনি আরও বলেন, প্রকাশনার সাথে বাণিজ্যিক ভাবনা যুক্ত থাকবেই। কিন্তু স্রোত বাণিজ্যিক কারণে প্রকাশনার সাথে যুক্ত আছেন বলে মনে করেন না। স্রোত প্রকাশনার বিশেষত্বের কারণে তিনি নিজেও এই প্রকাশনা সংস্থার অনুরাগী বলে জানান।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার ছাড়াও বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি রামেশ্বর ভট্টাচার্য, স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয় এর অধ্যাপক মঞ্জু দাস, অধ্যাপক রিন্টু দাস, কথাসাহিত্যিক অনুপ ভট্টাচার্য, দুলাল ঘোষ, কবি তমোজিৎ সাহা ও অমিতাভ দেবচৌধুরী প্রমুখ।
আগরতলা প্রেসক্লাবের ভূমিতলে স্রোত প্রকাশনার প্রকাশিত পঁয়ত্রিশটি বইয়ের মধ্যে বিকাশ সরকারের দুটো উপন্যাস লেন্দুরায়ের জিজীবিষা, হ্যালুসিনেশন সিরিজসহ অমিতাভ দেব চৌধুরীর নির্বাচিত কবিতা, সঞ্জীব দে সম্পাদিত নাগরিকপঞ্জি ও ডিটেনশন ক্যাম্প, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অক্ষর ধানের, জয়শ্রী রায়ের মেঘনগরী, তপা মজুমদারের বর্ষামেঘ এবং অন্যান্য কবিতা, জয় দেবনাথের সম্পাদনা ও সংকলনে ত্রিপুরার একুশজন কবির তারুণ্যের কবিতা, সম্পা বৈদ্যের প্রতিবিম্ব, বিজন বোসের মধ্য রাতের ইন্দ্রধনু, অভীককুমার দের মাটি রাস্তার ঘ্রাণ, অনুপ দেবের ছড়ার বই 'সাত শেয়ালে কোষাস ধরে'সহ ছোট গল্প, প্রবন্ধ, লোকসংস্কৃতি, অটোবায়োগ্রাফি এবং স্রোতের কর্ণধার কবি গোবিন্দ ধরের সম্পাদনার বই উৎসবে চারটি উপন্যাস প্রকাশ হয়।
বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কবি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক কিশোররঞ্জন দে, শ্যামল বৈদ্য, সঞ্জীব দে, বিজন বোস, গোপালচন্দ্র দাস, অমলকান্তি চন্দ, জয় দেবনাথ, রূপন মজুমদার, অভীককুমার দে, দিব্যেন্দু নাথ, সাচিরাম মানিক, পদ্মশ্রী মজুমদার, সুমিতা পাল ধর, গৌরব ধর, গৈরিকা ধর, বিল্লাল হোসেন, রনিতা নাথ, পুলক চক্রবর্তী, নির্মল দাশসহ উল্লেখযোগ্য কবি লেখকরা।
প্রসঙ্গত, মাটি রাস্তার ঘ্রাণ কাব্য সংকলের কবি অভীককুমার দে পাথারকান্দি চতুরঙ্গ নাট্য সংস্থার নাট্য উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মানিত হোন। তার হাত ধরে সংস্থার মুখপত্র 'চেতনা' আনুষ্ঠানিক প্রকাশিত হয়।
সকল বই প্রিয়দের উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্রোত প্রকাশনার কর্ণধার কবি গোবিন্দ ধর।
উৎসবে উপস্থিত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, একটা প্রকাশনা সংস্থা বছরে কয়টি বই প্রকাশ করল সেটা বড়ো কথা নয়। কী বই প্রকাশ করছে, কোন বিষয়ে করছে, কেনইবা প্রকাশ করছে? সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজের অগ্রগতির স্বার্থেই হোক বই প্রকাশ, এমনটাই উল্লেখ করলেন তিনি।
মানিক সরকার বলেন, ২০০১- ২০০২ সাল থেকে প্রকাশনার সাথে যুক্ত হয়ে প্রকাশনা জগতে প্রতিষ্ঠিত হবার পেছনে স্রোতের নিজস্ব ধারাবাহিকতা রয়েছে। যে কোনও বই প্রকাশের দায়িত্ব স্রোত প্রকাশনা নেয় না। ভালো মন্দ বিষয় থাকলেও তা আপেক্ষিক বলেই হয়তো এমন বই প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, যে বই পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যে বই মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে না। মিথ্যুক ও হিংস্র হতে সহযোগী হবে না। সমাজের অগ্রগতির স্বার্থে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক করে তুলতে সাহায্য করে স্রোতের প্রকাশিত বই।
তিনি আরও বলেন, প্রকাশনার সাথে বাণিজ্যিক ভাবনা যুক্ত থাকবেই। কিন্তু স্রোত বাণিজ্যিক কারণে প্রকাশনার সাথে যুক্ত আছেন বলে মনে করেন না। স্রোত প্রকাশনার বিশেষত্বের কারণে তিনি নিজেও এই প্রকাশনা সংস্থার অনুরাগী বলে জানান।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার ছাড়াও বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি রামেশ্বর ভট্টাচার্য, স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয় এর অধ্যাপক মঞ্জু দাস, অধ্যাপক রিন্টু দাস, কথাসাহিত্যিক অনুপ ভট্টাচার্য, দুলাল ঘোষ, কবি তমোজিৎ সাহা ও অমিতাভ দেবচৌধুরী প্রমুখ।
আগরতলা প্রেসক্লাবের ভূমিতলে স্রোত প্রকাশনার প্রকাশিত পঁয়ত্রিশটি বইয়ের মধ্যে বিকাশ সরকারের দুটো উপন্যাস লেন্দুরায়ের জিজীবিষা, হ্যালুসিনেশন সিরিজসহ অমিতাভ দেব চৌধুরীর নির্বাচিত কবিতা, সঞ্জীব দে সম্পাদিত নাগরিকপঞ্জি ও ডিটেনশন ক্যাম্প, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অক্ষর ধানের, জয়শ্রী রায়ের মেঘনগরী, তপা মজুমদারের বর্ষামেঘ এবং অন্যান্য কবিতা, জয় দেবনাথের সম্পাদনা ও সংকলনে ত্রিপুরার একুশজন কবির তারুণ্যের কবিতা, সম্পা বৈদ্যের প্রতিবিম্ব, বিজন বোসের মধ্য রাতের ইন্দ্রধনু, অভীককুমার দের মাটি রাস্তার ঘ্রাণ, অনুপ দেবের ছড়ার বই 'সাত শেয়ালে কোষাস ধরে'সহ ছোট গল্প, প্রবন্ধ, লোকসংস্কৃতি, অটোবায়োগ্রাফি এবং স্রোতের কর্ণধার কবি গোবিন্দ ধরের সম্পাদনার বই উৎসবে চারটি উপন্যাস প্রকাশ হয়।
বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কবি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক কিশোররঞ্জন দে, শ্যামল বৈদ্য, সঞ্জীব দে, বিজন বোস, গোপালচন্দ্র দাস, অমলকান্তি চন্দ, জয় দেবনাথ, রূপন মজুমদার, অভীককুমার দে, দিব্যেন্দু নাথ, সাচিরাম মানিক, পদ্মশ্রী মজুমদার, সুমিতা পাল ধর, গৌরব ধর, গৈরিকা ধর, বিল্লাল হোসেন, রনিতা নাথ, পুলক চক্রবর্তী, নির্মল দাশসহ উল্লেখযোগ্য কবি লেখকরা।
প্রসঙ্গত, মাটি রাস্তার ঘ্রাণ কাব্য সংকলের কবি অভীককুমার দে পাথারকান্দি চতুরঙ্গ নাট্য সংস্থার নাট্য উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মানিত হোন। তার হাত ধরে সংস্থার মুখপত্র 'চেতনা' আনুষ্ঠানিক প্রকাশিত হয়।
সকল বই প্রিয়দের উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্রোত প্রকাশনার কর্ণধার কবি গোবিন্দ ধর।