শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড


নিউজ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জে নৃশংসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা ও চাচাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ই মার্চ) মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় প্রদান করেন আদালত। এই মামলায় আদালতে ২৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর আগে, ১০ই মার্চ এ হত্যা মামলায় তুহিনের চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে ৮ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত।

গত বছরের ১৪ই অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিলো। পেটে বিদ্ধ ছিলো দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন।

এই মামলায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০শে ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ই জানুয়ারি। তুহিনের ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইয়ের বিচার হয়েছে শিশু আদালতে।

এই মামলায় গত ১৩ই জানুয়ারি প্রথম তুহিনের মা মনিরা বেগমসহ পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মামলার বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আদালতে তুহিনের মা মনিরা বেগম বলেছেন, ১৩ই অক্টোবর রাতে তুহিন তার বাবা আবদুল বাছিরের সঙ্গে একই খাটে ঘুমিয়ে ছিলো। তিনি ছিলেন পাশের কক্ষে। গভীর রাতে তুহিনের চাচাতো বোন তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, ঘরের দরজা খোলা। তখন তিনি দেখেন তুহিনের বাবার পাশে তুহিন নেই। পরে সকালে জানতে পারেন, তুহিনকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। কে বা কারা তুহিনকে হত্যার করেছে তিনি জানেন না।

Post a Comment

Previous Post Next Post