পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া; মৃত বেড়ে ১৮, পুড়ে ছাই ১২০০ বাড়ি


অনলাইন ডেস্কঃ ভয়ংকর দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। সামনের দিনগুলোতে দাবানল আরও হিংস্র হয়ে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর পরই হাজার হাজার মানুষ অস্ট্রেলিয়ার বিস্তৃত ‘ট্যুরিস্ট লিভ জোন’ ছেড়ে পালাচ্ছে। দেশটিতে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দাবানল এরই মধ্যে ১৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

পুড়ে ছাই হয়েছে এক হাজার দুই শতাধিক বাড়িঘর। বুনো আগুনকে ভয়ংকর হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে সাতদিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান।

ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যজুড়ে চলতি সপ্তাহের বিস্তৃত আগুনে ১৭ জনের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এনএসডিব্লিউ’র দক্ষিণ উপকূলের বিস্তৃত এলাকার লোকজনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একে বলা হচ্ছে, ওই অঞ্চলের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় স্থানান্তর কার্যক্রম’।

বৃহস্পতিবার সিডনি ও ক্যানাবেরায় ফেরার গাড়ির দীর্ঘ সারির চাপে মহাসড়কগুলোকে স্থবির হয়ে পড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বেতামেনস বে শহরের পেট্রল পাম্পগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। দাবানলের অগ্রযাত্রা, নড়বড়ে বা উপড়ে পড়া গাছের কারণে অনেক সড়কই বন্ধ রাখা হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় খানিকটা ভালো হলেও শনিবার থেকে দাবানলের বিস্তৃতি আরও বাড়তে পারে এবং তা প্রাণি ও ঘরবাড়ির জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

উপকূলের ২৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকার বাসিন্দা ও পর্যটকদের উদ্দেশ্যে দেয়া সতর্কবার্তায় নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার সার্ভিস জানায়, যদি আপনি ছুটি কাটাতে এসে থাকেন, আপনাকে অবশ্যই শনিবারের আগে এলাকা ছাড়তে হবে।

কয়েকশ’ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যটির সরকার নববর্ষের প্রাক্কালে পরিস্থিতি ‘খুবই খারাপ’ হতে পারে বলে হুশিয়ার করেছিল।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মানুষজনকে আতঙ্কিত না হয়ে, জরুরি বিভাগের কর্মীদের ওপর আস্থা রাখতে অনুরোধ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অনেকের মধ্যেই যে আতঙ্ক ও হতাশা আছে, তা বুঝতে পারছি।

কিন্তু এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পদ্ধতিগত ও সুসমন্বিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবচেয়ে ভালোভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব, যা আজ এখন আমরা দেখছি।

Post a Comment

Previous Post Next Post