ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮ জনই হবিগঞ্জের


অনলাইন ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২৬ জনের মধ্যে ৮ জনই হবিগঞ্জের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিহতের পরিবারের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহত হবিগঞ্জের ৮ হলেন- হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মোঃ ইউসুফ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত, গোপায়া গ্রামের রিপন মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আল-আমিন, বড়বাজার গ্রামের সোহেল মিয়ার শিশু মেয়ে আদিবা, চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের রুবেল মিয়া তালুকদার, পীরেরগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নজরুল মিয়া। তারা সবাই উদয়ন ট্রেনের যাত্রী ছিলেন।

এ দুর্ঘটনায় জাহেদা খাতুন (৩০) নামে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের এক নারী মারা গেছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত বাকিরা হলেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাবাজগাঁও মুজিবুল রহমান (৫৫),  চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫), চাঁদপুরের কুসসুম বেগম (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩)।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান নিহতের বিষয়টি  নিশ্চিত করে জানান, হবিগঞ্জের যে কয়জন নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগনাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও তূর্ণা  নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখে ছিল। মন্দভাগ রেল স্টেশনের কাছে ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুটি ট্রেনেরই বেশ কয়েকটি করে বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ১৬জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত।

Post a Comment

Previous Post Next Post