মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীকে হয়রানীর অভিযোগ!

নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরে “জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে ভুমি দখল, গাছ কাটা, ও গাছ চুরির মামলা” দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজার জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব সেলিম আহমদ। মামলার পর সামাজিক সম্মানহানি ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন সেলিম আহমদ। সোমবার বিকালে রাজনগর প্রেসক্লাব সভাপতি আউয়াল কালাম বেগের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রাজনগর উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাঙ্গালী গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান সাবেক প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক সম্মানিত ব্যক্তিত্ব আব্দুল বারি মাস্টার সাহেব এর ছেলে ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে সেলিম আহমদ জানান ২০০৫ সালে উপজেলা বাঙ্গালী গ্রামে সেলিম আহমদের পৈত্রিক বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় পার্শবর্তী বাড়ির আব্দুল খালিকের সাথে আলাপ করে পশ্চিম পাশে রাস্তা করার জন্য কিছু জায়গা রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। সম্প্রতি ঐ রাস্তার জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। আব্দুল খালিক ও তার ছেলে আবুল কালাম আজাদ ঐ রাস্তায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। আব্দুল খালিকের চাচাতো ভাই আনিছ মিয়া গত ৫ সেপ্টেম্বর মারা যান, ঐ দিন সেলিম আহমদ তার জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য দেন। তিনি মৌলভীবাজার শহরে থাকেন বলে জানাজার পরেই তিনি তার শহরের বাসায় চলে আসেন, অথচ ঐ দিনই বিরোধপূর্ণ জায়গা দখল, গাছ কাটা, গাছ চুরির অভিযোগ এনে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি সেলিম আহমদ ও কয়েকজন আত্মীয় স্বজনকে আসামী করে মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন আব্দুল খালিকের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। এই মামলা দায়েরের দুই দিন পর বিরোধপূর্ণ রাস্তায় চলাচল ও ব্যবহারের উপর নিষেজ্ঞা চেয়ে মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেন আব্দুল খালিক।
সেলিম আহমদ আরো বলেন এই মামলায় ঘটনার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় আমি সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ফার্মাসিস কাউন্সিল আয়োজিত একটি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলাম, তিনি বলেন আমার পরিবার ও স্বজনদের বিরোদ্ধে পরপর দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সামাজিক মর্যাদাহানি করছেন দীর্ঘ দিনের অত্র এলাকার শান্তি বিনষ্ঠকারী, মামলাবাজ ব্যক্তি নামে পরিচিত আব্দুল খালিক ও তার ছেলে।
সেলিম আহমদ এ মিথ্যা মামলার ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন এ সংবাদ সম্মেলনে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাঙ্গালী গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিচারক গীতিকার শাহ উস্তার উদ্দিন আহমদ ও অত্র এলাকার ছেলে ডাঃ জাকির হোসেন মুন্নাসহ রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কর্মরত জানা যায় , আব্দুল খালিক এলাকার একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষক ছিলেন । যে কোন বিষয়ে মানুষের উপর মামলা হামলা তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে।
অন্যদিকে সেলিম আহমদের বাবা ও একজন সাবেক প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক ও দীর্ঘ দিনের ফার্মেসি ব্যবসায়ী। তিনি একজন শ্রদ্ধাভাজন ও সম্মানি ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় পরিচিত এবং তিনি দীর্ঘ দিন থেকে জেলা সদরে ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে আসার কারনে তার পৈত্রিক বাড়ি ও নিজের এলাকায় কমই যাতায়াত করেন। পূর্বে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডর সুবাদে এলাকায় যেতেন, এলাকার গরিব অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সেলিম আহমেদকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা জন্য তাঁর উপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন আব্দুল খালিক।

Post a Comment

Previous Post Next Post