‘হুতি নয়, সৌদির তেল স্থাপনায় হামলা করেছে ইরান’


অনলাইন ডেস্কঃ সৌদি আরবের একটি তেল স্থাপনায় ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দাম্মামের কাছে আরামকো কোম্পানির একটি তেল স্থাপনায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর সেখানে আগুন লেগে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সেই ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, আরামকোর তেল স্থাপনা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে। ভিডিওতে গুলির শব্দও শোনা গেছে।

এ ঘটনার পরপর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করে। কিন্তু হুথিদের সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে বলেন, ‘হুতিরা ড্রোন হামলা করেনি। ইরান হুথিদের নাম করে অভিনব কৌশলে দাম্মামের অদূরে বাকিয়াক এলাকার সেই তেলকূপে হামলা চালিয়েছে।’

মাইক পম্পেওর দাবি, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার ভান করে অন্ধভাবে সৌদি আরবে প্রায় একশ হামলা করেছে। অচলাবস্থা নিরসনের সব আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের ওপর অভিনব হামলা চালাচ্ছে। হামলা চালানো প্রসঙ্গে হুতিদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।’

শনিবারের ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটনার খবর এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল থেকে সম্প্রচার করা হয়নি।

আরামকো বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন এ প্রতিষ্ঠান ৭০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে।

এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, হামলার কারণে দৈনিক তেল উৎপাদন ৫৭ ব্যারেল কমে যাবে। এ উৎপাদন দেশটির মোট দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেক।

এ ঘটনায় বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য বেড়ে যাবে এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

Post a Comment

Previous Post Next Post