মঙ্গোলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ


স্পোর্টস ডেস্কঃ বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়া। মঙ্গোলিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বঙ্গমাতার প্রথম আসরে ফাইনালের টিকিট কাটল স্বাগতিকরা। ৩ এপ্রিল ফাইনালে লাওসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচে লাল-সবুজরা জয় পায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন মনিকা চাকমা, মার্জিয়া ও তহুরা খাতুন। আগামী ৩ এপ্রিল একই ভেন্যুতে লাওসের বিরুদ্ধে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে মিসরাত জাহান মৌসুমীর দল।

লড়াইয়ে দু’টি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের স্কোরার কৃষ্ণা রানী সরকার ও সিরাত জাহান স্বপ্না সেমিফাইনালে মাঠে নামতে পারেননি। তাদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা করে নেন মিডফিল্ডার মার্জিয়া ও ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন। শুরুতেই ছিল আক্রমণ। ২৪ সেকেন্ডেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন সাজেদা খাতুন। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক সেনজাভকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি কৃষ্ণার পরিবর্তে মাঠে নামা এ ফরোয়ার্ড।

পরের মিনিটেই আঁখি খাতুনের লম্বা পাস ধরে আবারও গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সাজেদা। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। গোল মিসের মহড়ায় এবার নাম লেখান সানজিদা। ১৬ মিনিটে ভাগ্য সহায় না থাকায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক সেনজাভের কাছ থেকে পাওয়া বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গোলমুখে জোড়ালো শট নেন সানজিদা। সাইডবারে লেগে ফিরে আসে বল।

অবশেষে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কাঙ্খিত সেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। সাজেদার পাসে পাওয়া বলে হেড নিয়ে এমনিকা চাকমা বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে নিশানা ভেদ করেন (১-০)। তখন উৎসবে মেতে উঠেন হাজার সাতেক সমর্থক। আনন্দের বন্যা বয়ে যায় লাল-সবুজ শিবিরে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আগের সেই ধারা ধরে রেখেই খেলা শুরু করে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে একাধিকবার গোলের সুযোগ মিস করা সাজেদা খাতুনকে তুলে নিয়ে তহুরা খাতুনকে মাঠে নামান কোচ। আক্রমণের ধারটাও যেন বেড়ে গিয়েছিল। মুহুর্মুহু আক্রমণে কোণঠাসা করে ফেলেছিল মঙ্গোলিয়াকে।

কিন্তু ফিনিসিংয়ের অভাব ছিল আগের মতোই। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার জোড়ালো শট গোলরক্ষক সেনজাভের হাতে লেগে বাইরে চলে যাওয়ায় হতাশার গল্পটা আরো একটু দীর্ঘায়িত হয় স্বাগতিকদের। বারবার সুযোগ হাতছাড়া হলেও ৬৯ মিনিটে ভুল করেননি স্বপ্নার পরিবর্তে একাদশে ঠাঁই পাওয়া মার্জিয়া।

প্রথম গোলদাতা মনিকা চাকমার ছোট পাস ধরে ডান পায়ের দারুণ শটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এ মিডফিল্ডার (২-০)। ম্যাচ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে গোলের গ্রাফটা আরো একধাপ উপরে নিয়ে যান বদলি হিসেবে মাঠে নামা তহুরা খাতুন (৩-০)। অবশেষে ৩-০ গোলের দারুণ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

Post a Comment

Previous Post Next Post