ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা, রক্ষা পেলেন টাইগাররা

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা, রক্ষা পেলেন টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্কঃ ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৬ জন। তবে টাইগার সদস্যদের সবাই অক্ষত রয়েছেন। আজ (শুক্রবার) পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে এ ঘটনার সম্মুখীন হতে হলো তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামদের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ক্রাইস্টচার্চে। শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে হাগলি ওভালে স্বাগতকদের বিপক্ষে খেলতে নামার কথা রয়েছে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের।

তার আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ক্রাইস্টচার্চে টিম বাসে করে হাগলি পার্কের নিকটে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম, মিরাজ, তাইজুল, মুশফিকরা। এসময় তাদের সঙ্গ দিতে সাথেই ছিলেন সৌম্য সরকার, দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন, দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাসসহ বেশ কয়েকজন সদস্য।

হুট করেই স্থানীয় সময় বেলার ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বন্দুকধারী এক ব্যক্তি অতর্কিতভাবে ক্রাইস্টচার্চের সেন্ট্রাল মসজিদে ঢুকে এলোপাথারি গুলি শুরু করলে নিহত হন ছয়জন। তবে ঘটনার আকস্মিকতা টের পেয়ে বাস থেকে নেমে দ্রুতই হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে যান তামিম-মিরাজরা। এসময় তারা স্থানীয় জনগণকেও সেন্ট্রাল মসজিদের আশেপাশে যেতে নিষেধ করেন।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল নিজের টুইটার একাউন্টে লিখেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাস তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র।’

মারি ভিল্লাভারায়েন বলেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনে হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন।’

এদিকে এমতাবস্থায় শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে কি-না সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post