'কুলাউড়ার উন্নয়ন প্রশ্নে কোন আপোষ নয়' -সুলতান মনসুর


স্টাফ রিপোর্টার: কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচ.এস.সি বিদায়ী অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন, কুলাউড়ার মানুষ শত প্রতিকূলতার মাঝেও দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তারা চান দীর্ঘদিনের অবহেলিত কুলাউড়ার উন্নয়ন। তাই আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের সবাইকে নিয়ে একটি মডেল কুলাউড়া উপজেলা উপহার দেওয়ার। কারন কুলাউড়ার উন্নয়ন প্রশ্নে কোন আপোষ নয়।

তরুণ, যুবক ও ছাত্রসমাজ এদেশের আগামী দিনের কর্ণধার। তারা যাতে দক্ষ যোগ্য ও খাঁটি দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে পারে তাদেরকে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। মাদক ও নেশার জগৎত থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে হবে। স্কুল কলেজ পড়–য়া মেয়েরা যাতে বখাটেপনার শিকার না হয় সে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে ছেলে মেয়ে উভয়কেই বোঝাতে হবে। অবশ্যই তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্ছার। এখন থেকে এই উপজেলায় তারা আরো সোচ্ছার থাকবেন। তিনি আরও বলেন আমি একজন বঙ্গবন্ধু অনুসারী হিসেবে বিশ্বাস করি দল-মতের পার্থক্য থাকতে পারে। তবে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন দু:খী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর আমাদের সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

রাজনীতিতে শত মত শত পথ থাকতে পারে। দলমতের পার্থক্য থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যার যার মত প্রকাশ করবে। কিন্তু জয়বাংলা ও জাতির জনকের বিষয়ে কোন আপোষ নাই। তিনি ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকালীন সময়ের পরিস্থিতি ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে কি হলো না হলে সেটা দেখার বিষয় নয়। ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে কুলাউড়া উপজেলায় কোন অন্যায় অবিচার হতে দেয়া হবে না। আমি এমপি থাকা অবস্থায় কুলাউড়া পৌরসভা করে দিয়েছিলাম। বিগত ১৭ বছরই কুলাউড়ায় তেমন কোন উন্নয়ন হয় নাই। ১৮ বছরের পিছিয়ে পড়া কুলাউড়াকে ১৮ দিনে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তবে সকলকে সঙ্গে নিয়ে অতীতের মত উন্নয়ন করতে চাই।

কুলাউড়া তথা সিলেটের মানুষের কল্যাণে আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। তাই কুলাউড়াকে অতীতের মত একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নের মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

নির্বাচিত হয়ে শপথ নেয়ার পর ২৪ মার্চ রোববার সুলতান মো. মনসুর এমপির নিজ নিবাচনী এলাকা কুলাউড়া উপজেলার ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের বার্ষিক মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল মতিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আহসান হোসাইন। 


মিলাদ মাহফিল শেষে তিনি মরহুম বেলায়েত হোসেন চৌধুরী শাহীন এর কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে সার্বিক খোঁজ খবর নেন। তিনি আশ্বস্ত করেন সব সময় তাদের পাশে থাকার। তিনি কুলাউড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজ খবর রাখেন । আর নির্বাচনের সময় কিছু অতি উৎসাহী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও একটি বিশেষ গোষ্ঠির বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার বিবরণ তাদের মুখে শুনেন। পরে তিনি নেতা কর্মীদের বলেন আমি বেঁচে থাকতে কুলাউড়ায় কোন দল, গোষ্ঠি বা কোন ধর্মের মানুষ অনিরাপদ থাকতে পারে না। ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগীতায় কুলাউড়ায় ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। 

উল্লেখ্য এমপি নির্বাচিত হয়ে গত ০৭ মার্চ শপথ গ্রহণের পর রোববার নিজ নির্বাচনী এলাকায় এই প্রথম কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এমপি।

Post a Comment

Previous Post Next Post