বিমানের কাছে অসহায় সিলেটের যাত্রীরা


অনলাইন ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী আকাশ পরিবহন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এটিকে লাভজনক করতে জোর তৎপরতা থাকলেও কিছুতেই যেন বদনাম পিছু ছাড়ছেনা রাষ্ট্রয়াত্ব এই প্রতিষ্ঠানটির। প্রতিনিয়ত যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এয়ারলাইন্সটিতে। তার পরও কর্তৃপক্ষ নিরব।

জানা যায়, সোমবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে বিমানের বিজি ২০২ ফ্লাইটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা হয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছান বিমানবন্দরে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে জানানো হয় ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হবে। কখন ফ্লাইট ছাড়বে তাও বলতে পারছিলেননা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার ফলে যাত্রীরা ক্ষুধার্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের পক্ষ থেকে বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে বার যোগাযোগ করা হলেও জানানো হয় ঢাকায় পৌঁছার হবে যাত্রীদের দুপুরের খবার দেয়া হবে।

ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছার পর বিমান কর্তৃপক্ষ জানায় আজ আর ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ফ্লাইট যাবেনা। রাত্রে যাত্রীদের হোটেলে নেয়া হবে, তবে তাদের খাবার দেয়া হবেনা। এনিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেন থাকেন যাত্রীরা।

বিমানের ট্রানজিট ডেস্কের ডিউটি ম্যানেজার নাহিদ পারভিন যাত্রীদের বলেন, সিলেটে যেহেতু ফ্লাইট দেরি হয়েছে সেখানেই খাবার দেয়ার কথা ছিল। তাছাড়া ফ্লাইট যদি দুপুর ২টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছত তবে এটি আমাদের দায়িত্ব ছিল। যেহেতু ফ্লাইট ২টার পরে পৌঁছেছে সেহেতু এসংক্রান্ত দায়ভার আমাদের নেই। আপনাদের সিলেট থেকেই খবার দেয়ার কথা, অথবা আমাদেরকে সিলেট থেকে ইনফর্ম করার কথা। কিন্তু আমাদেরকে সিলেট থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

বিজি ২০২ ফ্লাইটের জেদ্দাগামী যাত্রী ফখরুল ইসলাম বলেন, সকাল সোয়া ১১টায় সিলেট থেকে ফ্লাইট উড্ডয়নের কথা থাকলেও বিকেল ৩টায় আমাদেরকে নিয়ে ফ্লাই করে, ঢাকায় পৌঁছার পর কর্তৃপক্ষ বলছে ফ্লাইট কাল ভোরে ছাড়বে। এখন বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমাদের কোন খবার বা পানিও দেয়া হয়নি।

বিজি ২০২ ফ্লাইটের ওমরাহ’র যাত্রী আব্দুর রব সামু বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কোন দায় দায়িত্বেই নিতে চাচ্ছেন না।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আটাব সিলেট জোনের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য আইএটিএ-এর একটি আলাদা নিয়ম আছে। যাত্রীদের সাথে এমন আচরণ আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্গন। সিলেটরে যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমন করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু বিমানের কিছু ভুল নীতির কারনে যাত্রীরা হয়রানীর শিকার হন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সিলেট থেকে বিষয়টি নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও কোন সুদুত্তর পাচ্ছিনা। আগামীতে আটাব কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কর্তৃপক্ষ ফোন রিসিভ করেন নি।

অসমর্থিত সূত্রমতে, ফ্লাইটটিতে জেদ্দাগামী ৯৩, রিয়াদগামী ৫০ ও আবুদাবি ৩৪ জন যাত্রী রয়েছেন।

এদিকে যাত্রীদের করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সুত্রঃ
আজকের সিলেট

Post a Comment

Previous Post Next Post