পরস্পরকে সমান ছাড় দেবেন ট্রাম্প ও উন


অনলাইন ডেস্কঃ আলোচনার অগ্রগতির স্বার্থে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একে অন্যকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। এ ছাড়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে গতি ফেরাতে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসতে পারেন।

গত জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেন উন ও ট্রাম্প। সেখানে দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া পর্যন্তই! ওই বৈঠকের পর দুই পক্ষের সম্পর্কের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি ঘটেনি; বরং অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা না তুললে তারা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কোনো পদক্ষেপ নেবে না। অন্যদিকে ট্রাম্পের মনোভাব হলো, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

এ অবস্থায় গত সোমবার চীন সফরে যান উন। দুই দিনের সফরে তিনি প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। প্রতিবেদন অনুযায়ী চিনপিং বলেছেন, ‘আমি আশা করব, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একে অন্যের প্রতি ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখাবে।’ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলেও অভিহিত করেছেন চিনপিং। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক মিত্র হলো চীন; সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়িক সঙ্গীও।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার অচলাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ট্রাম্প গত রবিবার জানিয়েছেন, বৈঠকের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এদিকে মুন জায়ে ইন বলেছেন, ট্রাম্প ও উনের আরেকটি বৈঠক আসন্ন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাইলে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে আরো বড় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে। পাল্টা পদক্ষেপ নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেও। সূত্র : এএফপি।

Post a Comment

Previous Post Next Post