স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আটক



বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ইপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রেজন বেগম (৩৮)-কে আটক করেছে পুলিশ।

৩০ জানুয়ারী বুধবার সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মুসা। ২৯ জানয়ারী মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া থানার এসআই সানাউল্লাহ এর নেতৃত্বে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামের মুকিত মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

গত ২৭ জানুয়ারী রবিবার রাত ১০টার দিকে স্বামী আবু মুসলিম (৪০)- কে একই ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ৪ সন্তানের জননী স্ত্রী রেজন বেগম প্রকাশ রিমা বেগম। পরে রাত ১১ টার দিকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুসলিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়।


এ ঘটনায় ২৮ জানুয়ারী নিহত মুসলিমের ভাই মো. মবশ্বির আলী বাদী হয়ে রেজন বেগমকে বিবাদী করে থানায় মামলা (নং-৪২) দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে রেজন বেগম পলাতক ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে আবু মুসলিমের সাথে রেজন বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাদিয়া বেগম, নাদিয়া বেগম, নাহিদ, সাহিদ নামে চারটি সন্তান রয়েছে।

এদিকে নিহত আবু মুসলিমের ভগ্নীপতি মন্তাজ আলী জানান, রোববার রাতে তিনি পার্শ্ববর্তী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারে ছিলেন। রাত পৌনে দশটার দিকে নিহত মুসলিমের মেয়ে সাদিয়া তাঁর (মন্তাজ) মোবাইলে ফোন দিয়ে আহাজারি করে বলে তার পিতাকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। ফোন পেয়ে তিনি দ্রæত সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের ভিতর বিছানায় মুসলিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মুসলিম তাঁর পরিবার নিয়ে আলাদা থাকতেন। তাঁর বাড়ির আশেপাশে কোন বাড়ি না থাকায় তাকে কোপানোর সময় সন্তানরা চিৎকার করলেও কেউ শোনেননি। পরে মুসলিমের ভাইয়েরা খবর পেয়ে সবাই তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম মুসা বলেন, ঘটনার পর থেকে রেজন বেগম আত্মগোপনে ছিলো। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post