বরখাস্ত হলেন অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক


অনলাইন ডেস্কঃ রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখাপ্রধান এবং এক শ্রেণি শিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি তাদের বরখাস্ত করে। এই তিনজন হলেন- ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।

একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। র‌্যাব মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ওই চিঠি দেওয়া হয়।

এদিকে এই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানো হয়। এছাড়া এই তিন শিক্ষকের বেতনভাতা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।

ভিকারুননিসার বুধবারের স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) এবং বৃহস্পতিবারের (৬ ডিসেম্বর) পরীক্ষা ১১ ডিসেম্বর নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী রবিবার থেকে স্কুল-কলেজের ক্লাস স্বাভাবিক হবে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অরিত্রীর বাবা-মা আবেদন নিয়ে এলে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শিফট ইনচার্জ (প্রভাতী শাখা) জিনাত আক্তার, শ্রেণি শিক্ষক- এই তিনজন ভয়ভীতি দেখান। তার বাবা-মা’র সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শিফট ইনচার্জ নির্মম আচরণ করেন। যা অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।

তিনি আরো বলেন, অরিত্রীর বাবা-মা’র প্রতি অসম্মানের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি বলেই তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে; তদন্ত কমিটির কাছে এমনটি প্রতীয়মান হয়েছে। যার দায় কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিফট ইনচার্জ ও শ্রেণি শিক্ষিকা এড়াতে পারেন না। এই তদন্ত কমিটির একটি কপি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। #ইত্তেফাক

Post a Comment

Previous Post Next Post