মাংসখোর বাবার এ কেমন বর্ববরতা!


অনলাইন ডেস্কঃ স্বামী পাঁঠার মাংস খেতে ভালবাসে। কিন্তু স্ত্রী আবার পাঁঠার মাংস রান্না করতে চাইতেন না, যা নিয়ে সংসারে মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। কিন্তু স্ত্রী রান্নায় দেরি করায় স্বামী যা করলেন, তা এককথায় নির্মম।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি বিহারের ফোকিরটোলি গ্রামের। ওই গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু লাল শর্মার সঙ্গে তার স্ত্রীর মাঝে মধ্যেই ঝগড়া লাগত।

গ্রামবাসীদের দাবি, শম্ভু পাঁঠার মাংস খেতে ভালবাসত। কিন্তু তা রান্না করতে চাইতেন না তার স্ত্রী। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়সই ঝগড়া হতো।

কয়েক দিন আগে শম্ভু স্ত্রীকে ফের পাঁঠার মাংস রান্না করতে বলেন। অনেক ঝগড়ার পর তা রান্না করতে শুরু করেন তার স্ত্রী। কিন্তু রান্না করতে দেরি হওয়ায় ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন শম্ভু। এরপর নিজের ৪ বছরের মেয়েকে বেধড়ক মারতে থাকেন তিনি। মারের চোটে ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞা হারায় ছোট্ট মেয়েটি।

এরপর ওই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করেন শম্ভু। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নাকি শম্ভু এমন নির্মম কাণ্ড ঘটিয়েছেন পাঁঠার মাংস নিয়ে।

গ্রামবাসীদের দাবি, একবার মাংসে পর্যাপ্ত নুন না দেওয়ায় স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন শম্ভু। প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় সেই ঘটনা বেশি দূর এগোয়নি। তবে মাংস রান্না করতে দেরি করায় কেউ নিজের মেয়েকে কী করে মেরে ফেলতে পারে, তা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সূত্র: এবেলা

Post a Comment

Previous Post Next Post